ড্রোন হামলার জবাবে সিরিয়ায় মার্কিন বিমান হামলা, নিহত ১১
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে মার্কিন বাহিনীকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় এক মার্কিন ঠিকাদার নিহত ও পাঁচ সেনা সদস্যসহ মোট ছয়জন আহত হয়। এই হামলার জন্য সিরিয়ার ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করছে মার্কিন বাহিনী। ওই হামলার জবাবে এবার সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ইরানপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে লক্ষ্য করে দফায় দফায় বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৪ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা।
মার্কিন হামলা নিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ গ্রুপ জানিয়েছে, হামলায় ১১ ইরানপন্থী যোদ্ধা নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার শেষ সময়ে এক বিবৃতিতে পেন্টাগন জানায়, সিরিয়ার স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দুপুর প্রায় ১টা ৩৮ মিনিটে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় হাসাকা শহরের কাছে জোট বাহিনীর একটি ঘাঁটিতে মার্কিন সেনাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ হামলায় ইরানি ড্রোন ব্যবহার হয়েছে বলে দাবি মার্কিন গোয়েন্দাদের।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, ‘সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলশনারি গার্ডের (আইজিসি) সঙ্গে সম্পৃক্ত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ওপর হামলা চালানো হয়।’ এক বিবৃতিতে অস্টিন বলেন, ‘আইআরজিসির সঙ্গে সম্পর্কিত গোষ্ঠীগুলো সিরিয়ায় জোট বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি ধারাবাহিক হামলা চালিয়েছে। ওসব হামলা ও আজকের হামলার প্রতিক্রিয়ায় বিমান হামলাগুলো চালানো হয়েছে। কোনো গোষ্ঠী আমাদের সেনাদের ওপর হামলা চালিয়ে শাস্তি থেকে রেহাই পাবে না।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশেই এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন অস্টিন।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) বলছে, পূর্বাঞ্চলীয় শহর দেইর আজ জোরে মার্কিন হামলায় ছয় ইরান সমর্থিত যোদ্ধা নিহত হয়েছে। আর মায়াদেন শহরের পাশে দুজন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া ইরাকের সীমান্তবর্তী বৌকামালে মার্কিন বিমান হামলায় তিনজন নিহত হয়েছে। তবে, নিহতের বিষয়টি স্বাধীনভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারেনি আল-জাজিরা।