তাইওয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
তাইওয়ানের সঙ্গে দীর্ঘদিনের যোগাযোগ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে একথা জানানো হয়েছে।
তাইওয়ানের সঙ্গে মার্কিন কর্মকর্তা পর্যায়ের যোগযোগে নিষেধাজ্ঞা এখন থেকে অকার্যকর। চীন সরকারকে ‘খুশি রাখতে’ কয়েক দশক ধরে ‘স্বপ্রণোদিত হয়ে’ এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাখা হয়। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে এমনটি বলা হয়।
চীন তাইওয়ানকে মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন প্রদেশ মনে করে। কিন্তু তাইওয়ানের নেতারা নিজেদের স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করে থাকেন।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সময় শেষের দিকে। কয়েক দিন পর ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করবেন জো বাইডেন। ঠিক এই সময়ে এসে তাইওয়ানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলো। চীনকে চটাতেই ট্রাম্প প্রশাসন এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
গতকাল শনিবারের বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের কূটনীতিকদের মধ্যকার যোগাযোগ সীমিত করতে জটিল কিছু বিধিনিষেধ আনা হয়েছিল। আজ আমি ঘোষণা করছি, নিজেদের আরোপিত এসব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলো।’
এর প্রতিক্রিয়ায় ‘একক চীন’ নীতির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রকে শ্রদ্ধাশীল হতে বলেছে চীন।
গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও মানব সম্পদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যালেক্স অ্যাজার তাইওয়ানে যান। কয়েক দশক ধরে চলা নিষেধাজ্ঞার মধ্যে অ্যালেক্স অ্যাজার তাইওয়ান সফরকারী যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক ব্যক্তি।
তাইওয়ানের সঙ্গে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিরক্ষা চুক্তি না থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র দেশটির কাছে অস্ত্র বিক্রি করে থাকে।