তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হবে : ইইউ
তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হবে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এ কথা জানানো হয়েছে।
আজ শুক্রবার ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বরেল জানিয়েছেন, কঠিন শর্ত দিয়ে এই যোগাযোগ রক্ষা করা হবে। তবে এর মানে এই নয় যে নতুন আফগান সরকারকে স্বীকৃতি দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
সংবাদ সম্মেলনে জোসেপ বরেল বলেন, ‘আফগান জনগণের পাশে দাঁড়াতে আফগানিস্তানের নতুন সরকারের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ থাকতে হবে। এটা কাজ চালানোর জন্য, এর মানে এই নয় যে নতুন সরকারকে স্বীকৃতি দিচ্ছি আমরা।’
জোসেপ বরেল আরও বলেন, ‘নতুন আফগান সরকারের সঙ্গে সংযোগটা কী পর্যায়ে থাকবে সেটা নির্ভর করবে তাদের আচরণের ওপর। যেমন তারা যদি নিজের দেশকে অন্য দেশে সন্ত্রাসবাদ রপ্তানির ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার হতে না দেয়, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকে এবং আইনের শাসন ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা দেয়।’
আফগানিস্তানকে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রতিনিধিত্বমূলক অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করার কথাও বলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ পর্যায়ের এই কর্মকর্তা। একইসঙ্গে বিদেশি মানবিক সাহায্য সহযোগিতার অনুমোদন দিতে এবং দেশত্যাগে ইচ্ছুক আফগানদের সেই সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আফগানিস্তানে তালেবানের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার তিন সপ্তাহ হতে যাচ্ছে। এখনও নতুন সরকার ঘোষণা করেনি তারা। তবে, গতকাল বৃহস্পতিবার তালেবানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সরকার গঠনের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগেই অবশ্য চারজন মন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, আজ শুক্রবার তালেবানের পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভা ঘোষণা করা হতে পারে।
তালেবান বাহিনী গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখল করে নেওয়ার মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। পূর্ব চুক্তি অনুযায়ী ৩১ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের দীর্ঘতম যুদ্ধের। একই সঙ্গে আফগানিস্তানে আনুষ্ঠানিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হয় তালেবানের।