তিউনিসিয়া উপকূলে অভিবাসন প্রত্যাশীদের নৌকাডুবি, নিখোঁজ ২০

Looks like you've blocked notifications!
তিউনিসিয়ার উপকূলে থাকা অভিবাসন প্রত্যাশীদের একটি নৌকা। ছবি : রয়টার্স

তিউনিসিয়ার উপকূলে অভিবাসন প্রত্যাশীদের নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত ২০ জন নিখোঁজ রয়েছে। আজ শনিবার (৮ এপ্রিল) নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ হওয়া সবাই আফ্রিকার নাগরিক। অভিবাসন প্রত্যাশীরা ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের দেশ ইতালিতে যেতে চাচ্ছিল বলে জানা গেছে। তিউনিসিয়ার বিচার বিভাগের এক কর্মকর্তা এসব তথ্য জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।

লন্ডন ভিত্তিক সংবাদ সংস্থাটি বলছে, সম্প্রতি তিউনিসিয়া হয়ে ইউরোপে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা বেড়েছে। উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোর নাগরিকেরা দেশটির উপকূল থেকে ইতালির উদ্দেশ্যে যাচ্ছে। গত কয়েকটি সপ্তাহে তিউনিসিয়া উপকূলে বেশ কিছু অভিবাসন প্রত্যাশীদের নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে, যা ইউরোপে পাড়ি জমানোর চেষ্টাকারীদের সংখ্যা বাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

তিউনিসিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর সাফেক্সের উপকূল থেকে অভিবাসন প্রত্যাশীদের একটি নৌকা থেকে ১৭ জনকে উদ্ধার করেছিল দেশটির কোস্টগার্ড। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সেই নৌকাটিই আজ ডুবে গেছে বলে জানা গেছে। সাফেক্স আদালতের বিচারক ফাউজি মাসমুসদি এসব তথ্য জানিয়েছেন।

অভিবাসন প্রত্যাশীরা ইউরোপে যাওয়ার জন্য এখন তিউনিসিয়াকে বেশি বেছে নিচ্ছেন। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর ইতালিতে কমপক্ষে ১২ হাজার অভিবাসী তিউনিসিয়া হয়ে এসেছে। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল এক হাজার ৩০০ জন।

দারিদ্র্য, সংঘাত থেকে পালিয়ে উন্নত জীবনের আশায় আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপে ছোটা মানুষদের কাছে সাম্প্রতিক সময়ে যাত্রা শুরুর অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে তিউনিসিয়ার উপকূল। তিউনিসিয়ার কর্তৃপক্ষ এখন কাগজপত্রহীন সাব-সাহারান আফ্রিকানদের আটকে ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে, তার মধ্যেই এই নৌকাডুবির ঘটনাগুলো ঘটছে।

গতকাল শুক্রবার দেশটির কোস্টগার্ড জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ১৪ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে তারা। উদ্ধারকৃতদের বেশিরভাগই সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশগুলোর নাগরিক। চলতি বছরের এই সংখ্যা তার আগের বছরের একই সময়ের থেকে পাঁচগুণ বেশি।

এদিকে, শুক্রবার অভিবাসন প্রত্যাশীদের নিয়ে সতর্ক বার্তা দিয়েছে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। এই নারী প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘অভিবাসন প্রত্যাশীদের নতুন ঢেউ আসছে ইউরোপের দিকে। তিউনিসিয়ায় আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করা না হলে উত্তর আফ্রিকা থেকে আরও অভিবাসন প্রত্যাশী আসবে।’ এ সময় তিউনিসিয়াকে সাহায্য করার জন্য আইএমএফ ও বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জর্জিয়া মেলোনি।