তুরস্ক, সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত ৫ শতাধিক

Looks like you've blocked notifications!
তুরস্কের মালাতাইয়া শহরে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত একটি ভবন। ছবি : রয়টার্স

তুরস্কের মধ্যাঞ্চলে ও সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আজ সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় ভোর রাতে রিখটার স্কেলে ৭.৯ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে পাচ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া তুষারাবৃত এলাকায় ভবন ধসে বহু মানুষ আহত হয়েছেন এবং অনেকে ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়েছেন। সাইপ্রাস ও লেবাননেও এই শক্তিশালী ভূকম্পন অনূভূত হয়।

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল তুরস্কের গাজিয়ান্তেপ শহরের বাসিন্দা এরদেম পরিস্থিতির বর্ণনা দিতে গিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমি আমার ৪০ বছরের জীবনে এ রকম ভয়াবহ ভূমিকম্প দেখিনি।’
এরদেম বলেন, ‘তিনটি প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে আমরা দোলনায় রাখা শিশুদের মতো দুলতে থাকি।’

এদিকে, তুরস্কের দুর্যোগ বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে ভূমিকম্পে ২৮৪ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৪৪০ জন। কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়ে দেশে চার মাত্রার সতর্কতা জারি করেছে। উদ্ধারকর্মী ও সরবরাহ বিমান পাঠানো হচ্ছে উপদ্রুত এলাকায়।

এদিকে, সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ভূমিকম্পে দেশটির হামা, আলেপ্পো ও লাতাকিয়া প্রদেশে নিহতের সংখ্যা ২৩৪ ছাড়িয়েছে আর আহত হয়েছে অনেক লোক।এসব এলাকায় অসংখ্য ভবন ভেঙে পড়েছে।

তুরস্ক সীমান্ত থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরের সালকিন শহর থেকে হোয়াইট হেলমেট উদ্ধার সংস্থার একজন সদস্য জানান, শহরের পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ, সেখানে ১০টিরও বেশি ভবন ভেঙে পড়েছে। বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। সিরিয়ার এই এলাকার বেশিরভাগ ঘরবাড়ি ১২ বছরের গৃহযুদ্ধে আগেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

ভূমিকম্পের সময় সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক, লেবাননের রাজধানী বৈরুতও কেঁপে ওঠে। এ সময় আতঙ্কিত লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসে।

এদিকে, তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পের পর পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান এক টুইট বার্তায় জানান তার দেশ বিষয়টি নিয়ে নিবিড় পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে।