তুলে নেওয়া হলো ১১ সপ্তাহের লকডাউন, যেসব শিক্ষা পেলেন উহানবাসী

Looks like you've blocked notifications!

বর্তমানের বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস প্রথম দেখা দেওয়া শহর বা উৎপত্তিস্থল চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে ১১ সপ্তাহের লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে পৃথিবীর বহু দেশের বহু শহরে নতুন করে লকডাউন দিতে হচ্ছে।

 

দীর্ঘ প্রায় তিন মাসের অবরুদ্ধ জীবনকে ত্যাগের দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করেছেন উহানবাসী। তাঁরা চাইছেন বিশ্ববাসী যেন তাঁদের পাওয়া শিক্ষাগুলো কাজে লাগাতে পারে। সেখানকার এক নারী বলেন, শুধু এ শহর নয়, গোটা দেশ আমাদের পাশে ছিল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

লকডাউনের শুরুর দিকে চিকিসা সরঞ্জামসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের সরবরাহে সমস্যা দেখা দিলেও আস্তে আস্তে তা ঠিক হতে থাকে। শুরুর সময়টাতে সবাই ধৈর্য্য ধরে সামাজিক বিচ্ছিন্নকরণ প্রক্রিয়া মেনে চলায় মহামারিকে নিয়ন্ত্রণে আনা সহজ হয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। অনলাইনের যোগাযোগটা বাড়িয়ে দিয়ে মন ভালো রাখার চেষ্টা করেন অনেকেই।

জানুয়ারির শেষ দিক থেকে শুরু করে গত প্রায় তিন মাস প্রাণঘাতী ভাইরাসের আতঙ্কের পাশাপাশি খাদ্যসহ জরুরি জিনিসপত্রের সরবরাহের সংকটও মোকাবিলা করতে হয় শহরটির এক কোটি ১০ লাখ বাসিন্দাকে।

এরই মধ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শহরের লোকজন ঘরে থেকে নিয়ম মেনে জীবন বাচাতে যাঁর যাঁর জায়গা থেকে অবদান রেখেছেন বলে মনে করছেন তাঁরা।

উহানের এক মুসলিম তরুণী জানাচ্ছিলেন, প্রথম দিকে তাঁদের হালাল খাবার পেতে সমস্যা হয়েছিল। পরে কিছু মুসলিম স্বেচ্ছাসেবক খাবার সরবরাহে নেমে পড়েন।

এদিকে গত সোমবার গোটা চীনে একজনেরও প্রাণহানির ঘটনা ছিল না। তবে গতকাল মঙ্গলবার একজন করে হুবেই ও সাংহাই প্রদেশে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। মঙ্গলবার আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়ে যায়। এদিন চীনে ৬২ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়। এদের মধ্যে ৫৯ জনই অবশ্য বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তি। আগেরদিন সোমবার এ সংখ্যা ছিল ৩২ জন।

বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আজ বুধবার পর্যন্ত ৮২ হাজার ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫৮৮ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিন লাখ চার হাজার ৮৩৭ জন।

এদিকে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৪ জন।