তেল নিয়ে আলোচনার পর ২ মার্কিন বন্দিকে মুক্তি দিল ভেনেজুয়েলা
রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর সংকট কাটাতে অন্যান্য দেশ থেকে তেল আমদানির চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যেই ভেনেজুয়েলার সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে দেশটি। এ আলোচনার পরই মার্কিন দুই বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ভেনেজুয়েলার সমাজতান্ত্রিক সরকার। এর আগে ভেনেজুয়েলার রাজধানী কারাসাসে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে আলোচনা করতে যান জো বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। খবর বিবিসি।
তেল নিয়ে আলোচনা ও মার্কিন বন্দি মুক্তির বিষয়টিকে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধের পরেও ভূমধ্যসাগরে তেল উৎপাদনকারী আরব দেশগুলো রপ্তানি বাড়াতে আগ্রহী নয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলে শর্ত হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে তেল সরবরাহের ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। তবে তেল নিয়ে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে কাজ করার যে মার্কিন পরিকল্পনা, তার বিরোধিতা করেছেন একাধিক আইনপ্রণেতা।
এর আগে রাশিয়া থেকে তেল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের প্রতিশোধ হিসেবে মস্কোর ওপর চাপ বাড়াতে রাশিয়ার তেল ও অন্যান্য জ্বালানি আমদানির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বের বৃহত্তম তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানিকারক দেশ রাশিয়া। ইউক্রেনে হামলায় বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ছে দেশটি। এবার সে নিষেধাজ্ঞায় তেল রপ্তানি খাতও যুক্ত হলো।
মঙ্গলবার বাইডেনের ঘোষণার আগেই রাশিয়া সতর্ক করে বলে, তেল নিষেধাজ্ঞা নিয়ে পশ্চিমারা সামনে অগ্রসর হলে জার্মানিতে নিজেদের মূল গ্যাস পাইপলাইন বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার নোভাক এমন সতর্কবার্তা দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা বিশ্ববাজারের জন্য মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনতে পারে। এতে তেলের দাম দ্বিগুণ বেড়ে প্রতি ব্যারেল ৩০০ ডলারে পৌঁছাতে পারে।’
এদিকে রয়টার্সের আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালের শেষ নাগাদ পর্যায়ক্রমে রাশিয়া থেকে তেল ও জ্বালানি পণ্য আমদানি বন্ধ করবে যুক্তরাজ্য।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন মঙ্গলবার জানান, রাশিয়ার ওপর তাদের তেল ও জ্বালানি পণ্যের নির্ভরতা কমাতে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে যোগ দিচ্ছে যুক্তরাজ্য।