‘থ্যাংকস গিভিং ডে’তে করোনায় আক্রান্ত ৯০ হাজার আমেরিকান হাসপাতালে ভর্তি
ঐতিহাসিক ‘থ্যাংকস গিভিং ডে’তে বৃহস্পতিবার করোনায় আক্রান্ত প্রায় ৯০ হাজার আমেরিকান হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, যা গত ১৬ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ।
‘থ্যাংকস গিভিং ডে’-এর আগের দিন বুধবার দেশটিতে করোনায় দুই হাজার ২৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ৭ মে’র পর যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড এটি। খবর ইউএনবির।
প্রসঙ্গত, প্রত্যেক বছরের নভেম্বর মাসের ৪র্থ বৃহস্পতিবার আমেরিকায় এবং অক্টোবারের ২য় সোমবার কানাডায় ‘থ্যাংকস গিভিং ডে’ পালন করা হয়। থ্যাংকস গিভিং ডে-কে অনেকে আবার দ্য টার্কি ডে বলে থাকে। ঐতিহাসিকভাবে থ্যাংকস গিভিং ডে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক একটা অনুষ্ঠান।
থ্যাংকস গিভিং ডে’র মূল উদ্দেশ্য পরিবার, প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধবসহ সবাই একত্রিত হয়ে সবার জীবনের প্রতিটি সাফল্যের জন্য দেশ ও জাতির সাফল্যের জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানানো। খাবারের তালিকায় থাকে টার্কি রোস্ট, ক্র্যানবেরি সস, মিষ্টি আলুর ক্যান্ডি, স্টাফিং, ম্যাশড পটেটো এবং ঐতিহ্যবাহী পামকিন পাই। টার্কি ময়ূরের মতো বড় সাইজের বনমোরগ।
ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারে, আগামী চার সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা নতুন করে বেড়ে যেতে পারে।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) তথ্য অনুসারে, করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটিতে এক কোটি ২৮ লাখ ৭৯ হাজার ৮৬১ জন করোনায় আক্রান্ত এবং দুই লাখ ৬৩ হাজার ৪১৭ জন মৃত্যুবরণ করেছে।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত প্রায় ৯২ লাখ ৬৭ হাজার মানুষ এবং মারা গেছেন এক লাখ ৩৫ হাজার ২২৩ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী প্রায় ৬১ লাখ ৬৭ হাজার এবং মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৭০ হাজার ৭৬৯ জনের।
জেএইচইউ থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৪ লাখ ৩০ হাজার ৩৮৯ জনে।
এ ছাড়া, কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় কোটি আট লাখ ৬৮ হাজার ৯৬৫ জনে। সেই সাথে এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছে তিন কোটি ৯০ লাখ ৩৯৫ ব্যক্তি।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চলতি বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।