দক্ষিণ চীন সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক মহড়া

Looks like you've blocked notifications!
যৌথ সামরিক মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সেনারা। রয়টার্সের ফাইল ছবি

তাইওয়ান সংকটের মধ্যেই দক্ষিণ চীন সাগরে বিরাট সামরিক মহড়ার আয়োজন করেছে ফিলিপাইন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৯১ সাল থেকে ফিলিপাইনের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় ভাষায় এই মহড়ার নাম ‘বালিকাতান’, যার অর্থ ‘কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে’।

দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই সামরিক মহড়ার ব্যবস্থা করছে ম্যানিলা। কিন্তু এ বছর যে মহড়ার আয়োজন হয়েছে, তার আয়তন চোখে পড়ার মতো বড়। দক্ষিণ চীন সাগরে তাইওয়ানের সমুদ্র সৈকতে চীনের সামরিক মহড়ার জবাবেই যুক্তরাষ্ট্রের এই আয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রায় ১৭ হাজার সেনা এই মহড়ায় যোগ দিচ্ছেন। তার মধ্যে মার্কিন সেনার সংখ্যাই ১২ হাজার। রাবার বুলেট নয়, আসল কার্তুজ ব্যবহার করা হবে এই মহড়ায়। দক্ষিণ চীন সাগরে একটি ভুয়া জাহাজ তৈরি করা হয়েছে। মহড়ায় অংশগ্রহণকারীরা ওই জাহাজটিকে ধ্বংস করবে। পাশাপাশি মিসাইল, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমও থাকছে এই মহড়ায়।

মার্কিন যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান আনা হচ্ছে এই মহড়ায়। পাশাপাশি হাইমার লঞ্চার, অ্যান্টি ট্যাংক জ্যাভেলিনও আনা হচ্ছে ফিলিপাইন দ্বীপে।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ফিলিপাইনের আগের সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ রাখলেও এতটা কাছে ছিল না। বর্তমান সরকার যুক্তরাষ্ট্রকে বিপুল গুরুত্ব দেয়। বিশেষ করে চীন তাইওয়ান সীমান্তে আগ্রাসন দেখাতে শুরু করার পর ফিলিপাইন আগের চেয়ে অনেক বেশি যুক্তরাষ্ট্রের মুখাপেক্ষী হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিজেদের ক্ষমতা বাড়াতে বদ্ধপরিকর। বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সমুদ্রে চীনের ক্ষমতা অনেক বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সেই ক্ষমতা কমাতে বদ্ধপরিকর।