দাবানলে পুড়ছে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল, ৬ জনের মৃত্যু
তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে দাবানল আরও বিস্তৃত হয়েছে। বহু মানুষ তাদের সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এই দাবানলে এখন পর্যন্ত অন্তত ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে তুর্কি গণমাধ্যম। সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানিয়েছে।
দাবানলের কারণে চার দশক ধরে বসবাস করা বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল মেহমেত দেমিরের পরিবারকে। গতকাল শনিবার ফিরে এসে তিনি পেয়েছেন শুধু অগ্নিদগ্ধ একটি ভবন, যার ভেতরে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে আছে। শুধু বিছানার স্প্রিং, একটি মই, লোহার একটা চেয়ার এবং রান্নাঘরের কিছু তৈজসপত্র শনাক্ত করা যাচ্ছিল।
দেমিরের বাড়ি যেখানে, আনাথাইলিয়া প্রদেশের সেই মানবগাত জেলায় গত বুধবার থেকে দাবানল শুরু হয়।
দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই সময় থেকে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলজুড়ে দাবানল শুরু হয়। বেড়ে ওঠা তাপমাত্রা ও প্রবল বাতাসে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
১৯৮২ সালে তৈরি করা নিজের বাড়ির ধ্বংসাবশেষের দিকে তাকিয়ে থাকা দেমির বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘পাহাড়ি অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া দাবানল হঠাৎ করে প্রবল হয়ে ওঠে। মানবগাতের কেন্দ্রস্থলের দিকে আমাদের চলে যেতে হয়, আর এখন ফিরে এসে বাড়িটাকে এভাবে পেলাম।’
‘গত ৪০ বছরে এটাই আমাদের একমাত্র সম্বল ছিল। এখন আমার ও স্ত্রীর পরনের কাপড় ছাড়া আমাদের আর কিছু নেই। কিছুই করার নেই। এরকম সময়ে মুখে আর কোনো কথা থাকে না,’ বলেন দেমির।
মানবগাতের দাবানল লাগা এলাকার বাড়িগুলো থেকে কয়েক হাজার বাসিন্দা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখানে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুই কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
উপগ্রহ থেকে নেওয়া ছবিতে দেখা গেছে, আনথাইলিয়া ও মেইসিন প্রদেশের দাবানল থেকে ছড়িয়ে পড়া ধোঁয়া দেড়শ কিলোমিটার দূরে সাইপ্রাস দ্বীপ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।