‘দুর্ঘটনাবশত’ কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে গুলি করা হয়েছে, বলছে পুলিশ
যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের ব্রুকলিন সেন্টার শহরে পুলিশের গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ নিহতের ঘটনায় দেশজুড়ে ফের তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। শুরু হয়েছে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ। একটি জায়গায় কারফিউও জারি করতে হয়েছে। স্থানীয় পুলিশপ্রধান বলছেন, ২০ বছর বয়সী তরুণ দান্তে রাইটকে ‘দুর্ঘটনাবশত’ গুলি করা হয়েছে। সিএনএন ও বিবিসির খবরে এ কথা জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার সকালে পুলিশপ্রধান টিম গ্যানন সাংবাদিকদের বলেন, দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা হাতে থাকা পিস্তলকে স্টানগান ভেবে ভুলে গুলি ছোড়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কর্মকর্তার শরীরে থাকা ক্যামেরার ফুটেজ দেখানো হয়। সেখানে এমনটিই দেখা গেছে। রাইট জোর করে গাড়িতে ঢুকে বসে পড়েন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে গুলি ছোড়ার সময় ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তা ‘টেজার টেজার টেজার’ বলে দান্তে রাইটকে সতর্ক করেন। এর পরপরই তিনি ট্রিগারে চাপ দেন। গুলি করার সঙ্গে সঙ্গে ভুল বুঝতে পেরে আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমি তাকে গুলি করে ফেলেছি।’
রোববার ট্রাফিক আইন ভঙ্গের কারণে দান্তে রাইটকে থামান পুলিশ কর্মকর্তারা। রাইট জোর করে গাড়িতে ঢুকে পড়লে গুলি করে বসেন পুলিশ কর্মকর্তা। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি টান দিয়ে কিছু দূর যাওয়ার পর মারা যান রাইট। কৃষ্ণাঙ্গ এই তরুণ নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে ব্রুকলিন সেন্টারে বিক্ষোভ হয়। পুলিশ হেডকোয়ার্টার ঘেরাও করে বিক্ষোভকারীরা। সন্ধ্যার পর জারি করা হয় কারফিউ।
এদিকে, একই অঙ্গরাজ্যে অর্থাৎ রোববারের ঘটনাস্থল থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে গত বছর জর্জ ফ্লয়েড হত্যার ঘটনা ঘটে। শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার অত্যাচারে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শাউভিনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। তাঁর বিচার চলছে।
জর্জ ফ্লয়েড হত্যার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে কৃষ্ণাঙ্গ অধিকার আন্দোলন শুরু হয়। পরে সে আন্দোলন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।