দেশের সবচেয়ে বড় কোকেন ল্যাবের সন্ধান পেল ডাচ পুলিশ

Looks like you've blocked notifications!
ল্যাব থেকে হাজার হাজার লিটার রাসায়নিক ও ১০০ কেজি কোকেন উদ্ধার করেছে ডাচ পুলিশ। ছবি : সংগৃহীত

আগে ছিল রাইডিং স্কুল বা ঘোড়সওয়ারি শেখানোর স্কুল। সেটাকেই পরে গোপনে কোকেন ল্যাবে পরিণত করে দুষ্কৃতকারীরা। নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডাম থেকে ১২০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বের শহর নিজভিনের ল্যাব থেকে হাজার হাজার লিটার রাসায়নিক ও ১০০ কেজি কোকেন উদ্ধার করেছে পুলিশ। ল্যাব থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে একজন কলম্বিয়ান, একজন তুর্কি এবং একজন ডাচ নাগরিককে। তাঁদের জেরা করার পর সে সূত্র ধরে ১৩ জন কলম্বিয়ান, তিনজন ডাচ নাগরিক এবং একজন তুরস্কের নাগরিককে ধরেছে পুলিশ। বোঝা যাচ্ছে, বহুজাতিক কোনো মাদক পাচার চক্রের বড় ঘাঁটি ছিল ওই ল্যাবটি। সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে এ খবরে জানিয়েছে।

ডাচ পুলিশ জানিয়েছে, দিনে দেড়শ থেকে দুইশ কেজি কোকেন উৎপাদনের ক্ষমতা ছিল ওই ল্যাবের। ইউরোপের বাজারে যার দাম ৪৫ লাখ ইউরো। বিশাল এ কর্মকাণ্ডে প্রচুর লোক জড়িত রয়েছে। আরো কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে পুলিশ জানিয়েছে। 

এ সূত্র ধরেই পুলিশ দক্ষিণ নেদারল্যান্ডসের দুটি শহর থেকে ১২০ টন মাদক পাচারের জিনিস উদ্ধার করেছে, যেগুলো মূলত কাপড়, যার মাধ্যমে মাদক পাচার করা হতো। এক বিশেষ পদ্ধতিতে পুরো কাজ হতো। এ অপারেশনের নাম ছিল ড্রাগ লন্ড্রি।

পুলিশ জানিয়েছে, মাদক একটা তরলে গুলে দেওয়া হতো। তারপর তা কাপড়ে লেপটে দেওয়া হতো। সে কাপড় নিয়ে আসা হতো নেদারল্যান্ডসে। ল্যাবে বিশেষ রাসায়নিকের সাহায্যে মাদক বের করে নেওয়া হতো। তারপর তা বাজারে যেত।

নেদারল্যান্ডস থেকেই মূলত ইউরোপের বাজারে মাদক ঢোকে। মূলত রটারডামের বন্দরের মাধ্যমে কোকেনের চোরাকারবার হয়। নেদারল্যান্ডসে দীর্ঘদিন ধরেই মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলছে। সে যুদ্ধে বড় সাফল্য পেল ডাচ পুলিশ।