‘নগদ অর্থ নয়, তেল-গ্যাসের বিনিময়ে’ চীন থেকে যুদ্ধবিমান নিতে চায় ইরান
নগদ অর্থ না থানায় তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের বিনিময়ে ইরান চীনের কাছ থেকে যুদ্ধবিমান অস্ত্র নিতে চাচ্ছে বলে দাবি করেছেন সামরিক গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, চীনের কাছ থেকে জে-১০সি লাইটওয়েট ফাইটার জেট নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইরান। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এ খবর জানিয়েছে।
বেইজিংভিত্তিক সামরিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট ইউয়ান ওয়াং থিংক ট্যাঙ্কের গবেষক ঝো চেনমিং বলেছেন, ‘সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, ইরানের কাছে চীনকে দেওয়ার মতো নগদ ডলার বা ইউরো নেই। অস্ত্রের বিনিময়ে তারা তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস দিতে আগ্রহী।
ঝো চেনমিং আরও বলেন, ‘চীনের কাছে যথেষ্ট জ্বালানি সঞ্চিত রয়েছে। আর ব্যবসা হলো ব্যবসাই। অস্ত্রচুক্তির মূল বিষয়টিই হলো অর্থ উপার্জন। তাই, চীন এ ধরনের অলাভজনক দর কষাকষিতে আগ্রহী নয়।’
ইরানের ওপর আরোপ করা জাতিসংঘের ১৩ বছরের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা গত বছরের অক্টোবরে শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই ফাইটার জেটের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছে তেহরান—কয়েক মাস ধরেই চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে এমন আলোচনা হচ্ছে।
এর আগে অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম সিনা নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, কাতারের কাছ থেকে পাওয়া তিন বিলিয়ন অর্থ সহায়তার অর্ধেক ব্যবহার করে চীনের ৩৬টি ফাইটার জেট কিনতে পারে ইরান। গত বছরের জানুয়ারিতে তেহরানে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই অর্থ সহায়তার কথা বলেছিলেন কাতারের আমির শেখ হামাদ বিন খলিফা আল-থানি।
ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জন্য অর্থনৈতিক ইস্যু মোকাবিলায় বেইজিং ও তেহরানের মধ্যে গত মার্চে স্বাক্ষরিত ২৫ বছরের কৌশলগত সহযোগিতা চুক্তির অংশ হিসেবে নিরাপত্তা বিষয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দেখা গেছে।
আকাশপথে যুদ্ধের জন্য চীনের একক-ইঞ্জিন দ্বারা চালিত হালকা, বিভিন্ন দক্ষতার জে-১০ জেটের উন্নত সংস্করণ হলো জে-১০ সি।
সাংহাই-ভিত্তিক সামরিক বিশেষজ্ঞ নি লেক্সিয়ং বলেছেন, ‘২০১৮ সাল থেকে শুরু হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য যুদ্ধ করোনা মহামারির মধ্যেও চলমান রয়েছে। এর মধ্যে চীনকে তার নিজস্ব অর্থনৈতিক বিবেচনাকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।’