নরওয়ের আদালতে গণহত্যাকারী ব্রাইভিকের নাৎসি স্যালুট
নরওয়ের গণহত্যাকারী আন্দেস বেইরিং ব্রাইভিক তার প্যারোলের শুনানিতে আদালতে হাজির হয়ে নাৎসি স্যালুট দিয়েছেন।
এক দশকেরও বেশি সময় কারাগারে থাকার পর তাকে মুক্তি দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মঙ্গলবার নরওয়ের একটি আদালতে শুনানি শুরু হয়েছে।
উগ্র ডানপন্থি ব্রাইভিক ২০১১ সালের জুলাইয়ে ৭৭ জনকে হত্যা করেছিলেন। এটি নরওয়েতে সংঘটিত সবচেয়ে ভয়াবহ নৃশংসতার ঘটনা।
ব্রাইভিক রাজধানী ওসলোতে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ৮ জনকে হত্যার পর দেশটির লেবার পার্টির ইয়ুথ ক্যাম্পে গিয়ে আরও ৬৯ জনকে হত্যা করেন যাদের অধিকাংশই কিশোর বয়সী।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কালো স্যুট পরা মাথা মুড়ানো ব্রাইভিক আদালতে প্রবেশ করেই হাতের আঙুল দিয়ে বর্ণবাদী চিহ্ন আঁকেন তারপর তার উগ্র-ডান চরমপন্থি আদর্শ প্রকাশ করতে ডান হাত তুলে নাৎসি স্যালুট দেন।
তিনি প্রিন্ট করা কয়েকটি সাইনও নিয়ে আসেন, সেগুলোর দুটিতে ইংরেজিতে লেখা ছিল ‘শ্বেত জাতিদের বিরুদ্ধে আপনাদের গণহত্যা বন্ধ করুন’ এবং ‘নাৎসি-গৃহ-যুদ্ধ’।
পরে শুনানি শুরু হওয়ার সময় তাকে এসব প্রদর্শন করা বন্ধ করতে বলা হয়। বিচারক দাগ বিয়োরভিক বলেন, ‘শুনানি চলাকালে আমি এরকম কিছু দেখতে চাই না।’
শুনানিতে ২০১২ সালে দেওয়া মূল রায়ের একটি অংশ পড়ে শোনানো হয়, যেখানে বলা হয়েছে, কারাগারে ২১ বছর থাকার পরও আসামী খুব বিপজ্জনক একজন মানুষই থেকে যাবেন।
অপরদিকে ব্রাইভিক মুক্তি পেতে চান বলে জানান তার আইনজীবী।
আদালতকে উদ্দেশ্য করে ব্রাইভিক বলেন, তার অপরাধের জন্য উগ্র-ডান চরমপন্থি নেতৃত্বহীন একটি নেটওয়ার্ক দায়ী, যারা অনলাইনে তাকে মৌলবাদে দিক্ষিত করে হামলা চালাতে অনুপ্রাণিত করেছিল।