নাগরিকদের পাকিস্তান ছাড়তে বলল ফ্রান্স

Looks like you've blocked notifications!
পাকিস্তানে ফ্রান্সবিরোধী বিক্ষোভে গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। বিক্ষোভ দমনে দুজন পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত

পাকিস্তানে ফ্রান্সবিরোধী বিক্ষোভ দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে। ফরাসি সরকার মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কার্টুন প্রকাশের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় দেশটির বিরুদ্ধে কিছু দিন ধরে পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে দুজন পুলিশ নিহত হয়েছে।

সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ফরাসি নাগরিকদের সাময়িক পাকিস্তান ত্যাগের আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তানে অবস্থিত ফ্রান্সের দূতাবাস। বিবিসির খবরে এ কথা জানানো হয়েছে।

‘ফরাসি স্বার্থের জন্য মারাত্মক হুমকি’ হিসেবে উল্লেখ করে পাকিস্তানের ফরাসি দূতাবাস জানিয়েছে, পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে।

কট্টরপন্থি ইসলামী দল তেহরিক-ই-লাব্বায়িক পাকিস্তানের (টিএলপি) নেতা সাদ হুসাইন রিজভীকে আটকের পর মূলত এ সপ্তাহে ফ্রান্সবিরোধী বিক্ষোভের মাত্রা বাড়তে থাকে। টিএলপিকে নিষিদ্ধের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে পাকিস্তান সরকার।

গত নভেম্বরে ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার ও ফরাসি পণ্য বর্জনের দাবি তুলে আন্দোলনে নামে টিএলপি। পাকিস্তানের অনেক মন্ত্রী এ আন্দোলনে সমর্থন জানান। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও সেসময় ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সমালোচনা করেন। তবে পণ্য বয়কটে সরকারি কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানিয়ে দেন।

গত বছরের অক্টোবরে ফ্রান্সে শ্রেণিকক্ষে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কার্টুন প্রদর্শনকারী শিক্ষককে গলা কেটে হত্যা করা হয়। পরে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ শক্তভাবে মত প্রকাশের অধিকার রক্ষার পক্ষে অবস্থান ব্যক্ত করেন। এরপর পাকিস্তানসহ মুসলিম বিশ্বের অনেক দেশেই বিক্ষোভ হয়। অনেক জায়গায় ফরাসি পণ্য বর্জনের ডাকও দেওয়া হয়।

ইসলামে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ছবি প্রকাশ অবৈধ হিসেবে ধরা হয়।

২০১৫ সালে মহানবীর (সা.) ব্যাঙ্গচিত্র প্রকাশের পর ব্যাঙ্গধর্মী ম্যাগাজিন শার্লি হেব্দোর কার্যালয়ে সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। সম্পাদকসহ ১২ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।