নারী কর্মীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক, মন্ত্রীকে বরখাস্ত করলেন জেসিন্ডা আরডার্ন

Looks like you've blocked notifications!
ইয়াইন লিস-গ্যালওয়ে (বাঁয়ে) ও নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। ছবি : সংগৃহীত

অধস্তন নারী সহকর্মীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের গড়ে তোলার কারণে অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রীকে বরখাস্ত করলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। নিজের দোষ স্বীকার করে প্রধানমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন অভিযুক্ত মন্ত্রী ইয়াইন লিস-গ্যালওয়ে।

 

সংবাদ সংস্থা ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, প্রায় এক বছর ধরে নিজ কার্যালয়ের এক অধস্তন নারী কর্মীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক ছিল ইয়াইন লিস-গ্যালওয়ের। এ ক্ষেত্রে গেলওয়ে পদের অপব্যবহার করেছেন বলে মনে করছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইয়াইন লিস-গ্যালওয়ের সঙ্গে কথা বলার পরিপ্রেক্ষিতে আমার কাছে এটা স্পষ্ট যে একজন মন্ত্রী হিসেবে তাঁর অবস্থান অগ্রহণযোগ্য।’

জেসিন্ডা আরডার্ন আরো বলেন, ‘আমি তাঁকে পদত্যাগের বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছি। তিনি ১২ মাস ধরে অবিবেচকের মতো আচরণ করেছেন। এ সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তিনি নিজের কার্যালয়কে অনৈতিকভাবে ব্যবহার করেছেন। কর্মস্থলে সম্পর্ক ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মানদণ্ড ও সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় দায়িত্বরত একজন মন্ত্রীর কাছে যে ধরনের আচরণ আমি প্রত্যাশা করি, তিনি তার জন্য অনুকরণীয় নন।’

আরডার্ন বলেন, ‘তাঁর (ইয়াইন লিস-গ্যালওয়ে) কার্যকলাপে মন্ত্রী হিসেবে তাঁর প্রতি আমি আস্থা হারিয়েছি। তিনি তাঁর কর্মকাণ্ডের দায়ভার নিয়েছেন।’

এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়ে ভুল স্বীকার করেছেন ৪১ বছর লিস-গ্যালওয়ে। তিনি জানিয়েছেন, মন্ত্রী হিসেবে তিনি আর দায়িত্ব চালিয়ে যেতে পারেন না।

সাম্প্রতিক সময়ে নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্টে এমন আরো ঘটনা আলোচনায় এসেছে। নারীদের অশালীন ছবি পাঠানোর জেরে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন এক বিরোধী দলীয় আইনপ্রণেতা। তবে এ ক্ষেত্রে সরকারের কঠোর অবস্থানই জানান দিলেন জেসিন্ডা আরডার্ন।