নিউইয়র্ক টাইমস এবং ভাতিজি ম্যারির বিরুদ্ধে ট্রাম্পের মামলা
২০১৮ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের জন্য মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এবং নিজের ভাতিজি ম্যারি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গত মঙ্গলবার নিউইয়র্কের ডাচেস কাউন্টিতে ১০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে এ মামলা দায়ের করেন ট্রাম্প। খবর বিবিসির।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, অভিযুক্তরা গোপনীয় ও অত্যন্ত স্পর্শকাতর নথিগুলো পেতে একটি ‘ষড়যন্ত্রমূলক চক্রান্তে লিপ্ত’ ছিল, যা তারা তাদের নিজের সুবিধার জন্য কাজে লাগিয়েছিল এবং তাদের প্রতিবেদনগুলোকে মিথ্যাভাবে বৈধ করার উপায় হিসাবে ব্যবহার করেছিল। এ ছাড়া তারা ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই এই কাজ করেছে।
এতে আরো বলা হয়, গোপন নথিপত্র পেতে ম্যারি ট্রাম্প এবং সংবাদপত্রটির প্রতিবেদক সুক্ষ্ম ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন। অভিযোগ করা হয়েছে ৫৬ বছর বয়সী ম্যারি ট্রাম্প নথি গোপন রাখার চুক্তি ভঙ্গ করেছেন।
অন্যদিকে, ট্রাম্পের পারিবারিক বিনিয়োগ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় ২০১৯ সালে পুলিতজার পুরস্কার পেয়েছিল নিউইয়র্ক টাইমস ও পত্রিকাটির তিন সাংবাদিক।
পুলিতজার পুরস্কার মনোয়ন বোর্ড পদক প্রদানের কারণ হিসেবে বলেছিল, “তার (ট্রাম্পের) নিজের সম্পদের দাবি বাতিল করে দিয়েছে এবং কর ফাঁকি দিয়ে একটি ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য গড়ে তোলার’ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।”
মামলায় নিউইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক সুসান ক্রেইগ, ডেভিড ব্রাটসো এবং রাসেল বাটনারকে আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের ভাতিজির সঙ্গে কাজ করে বেআইনিভাবে নথি প্রকাশের অভিযোগ এনেছেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এদিকে ট্রাম্পের মামলায় অভিযুক্ত সাংবাদিক সুসান ক্রেইগ এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘আমি ম্যারি ট্রাম্পের দরজায় কড়া নেড়েছি। তিনি খুলে দিয়েছেন। আমার মনে হয় এটাকেই সাংবাদিকতা বলে।’
২০২০ সালে ম্যারি ট্রাম্প একটি বই বের করেছিলেন। সেখানে তিনি চাচা ট্রাম্পের আয়কর রিটার্নের বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি জানান, নিউইয়র্ক টাইমসকে তিনি যা বলেছেন, তার চেয়ে বেশি তার সর্বোচ্চ বিক্রিত বইতে লিখেছেন।