পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্রের সম্মানজনক পুরস্কার পেলেন বাংলাদেশি অধ্যাপক

Looks like you've blocked notifications!
অধ্যাপক এম হাসান জাহিদ। ছবি : সংগৃহীত

পদার্থবিজ্ঞানে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা কাজের জন্য সম্মানজনক ‘আর্নেস্ট অরল্যান্ডো লরেন্স’ অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক এম জাহিদ হাসান। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয়, অর্থনৈতিক ও জ্বালানি নিরাপত্তার অগ্রগতিতে অবদান রাখা গবেষণা কাজের জন্য বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এবার বাংলাদেশি জাহিদ হাসানসহ আটজন এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটে এম জাহিদ হাসানের মনোনীত হওয়ার কথা জানানো হয়।

ইউজিন হিগিন্স অধ্যাপক জাহিদ হাসান বলেন, ‘আর্নেস্ট অরল্যান্ডো লরেন্স আমার প্রিয় বিজ্ঞানীদের একজন। এই পুরস্কার পেয়ে আমি বেশ আনন্দিত।’ 

লরেন্সের গবেষণার ফল নিজেরও কাজে লাগে বলে জানান কোয়ান্টাম ম্যাটার নিয়ে কাজ করা এই অধ্যাপক।

পুরস্কারের ঘোষণায় বলা হয়েছে, অধ্যাপক হাসানের গবেষণা কোয়ান্টাম ম্যাটার ফিজিকসে নতুন জায়গা তৈরি করেছে।  

পঞ্চাশের দশকের নোবেলজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী আর্নেস্ট অরল্যান্ডো লরেন্সের সম্মানে ১৯৫৯ সালে এই পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়। লরেন্স অতিপারমাণবিক কণা সম্প্রসারণকারী ‘সাইক্লোট্রোন’ আবিষ্কার করেন। ১৯৩৯ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পারমাণবিক বোমা নির্মাণেও অবদান রাখেন লরেন্স। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গবেষণাগার নির্মাণেও নেতৃত্ব দেন তিনি। 

গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানিমন্ত্রী ড্যান ব্রোউলেট পুরস্কারের ঘোষণা দেন। লরেন্স অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেকে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানিমন্ত্রীর স্বাক্ষর করা সনদ, আর্নেস্ট অরল্যান্ডো লরেন্সের স্বর্ণনির্মিত প্রতিকৃতি ও ২০ হাজার ডলার এককালীন সম্মানী পান। আগামী মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরস্কার বিতরণ করা হবে।

প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিখ্যাত অধ্যাপক ভল ফিচ ১৯৬৮ সালে এবং জেমস ক্রোনিয়ন ১৯৭৬ সালে লরেন্স অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হন। পরে তাঁরা দুজন যৌথভাবে ১৯৮০ সালে পদার্থে নোবেল পুরস্কার পান।