পরমাণু চুক্তির বিধিনিষেধ না মানার ঘোষণা ইরানের
ইরান ঘোষণা দিয়েছে, তারা ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির কোনো বিধিনিষেধ মানবে না।
এক বিবৃতিতে ইরান জানিয়েছে, এখন থেকে তাদের পরমাণু সক্ষমতা বৃদ্ধি, পরমাণু মজুদ কিংবা পরমাণু নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে আর কোনো রাখঢাক থাকবে না। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
রাজধানী তেহরানে মন্ত্রিসভার এক বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেয় ইরান।
ইরাকের রাজধানী বাগদাদে গত শুক্রবার ইরানের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা জেনারেল কাসেম সোলেইমানি মার্কিন হামলায় নিহত হওয়ার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে সংকট ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বাগদাদ থেকে পাওয়া খবরের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় সেখানকার মার্কিন দূতাবাস চত্ত্বরে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, দূতাবাসের আশপাশে চার দফায় আগুন জ্বালানোর চেষ্টা করা হয়। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া ও জার্মানি ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে মাণবিক চুক্তি করেছিল। সে চুক্তির মূল বিষয় ছিল, ইরান পরমাণু কার্যক্রম বন্ধ রাখবে এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি কমিশন ইরানের যেকোনো পরমাণু স্থাপনা যেকোনো সময় পরিদর্শন করতে পারবে। মোদ্দাকথা, ইরান যেন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে না পারে, সেজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইরানকে নজরদারীর মধ্যে রাখতে পারবে। এর বিনিময়ে ইরানের ওপর থেকে অর্থনৈতিক অবরোধ তুলে নেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালের মে মাসে ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়ে ইরানের ওপর নতুন করে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করেন।
মূলত তখনই পারমাণবিক চুক্তিটি ‘লাইফ সাপোর্টে’ চলে যায় বলে মতামত বিবিসির প্রতিরক্ষা বিষয়ক করেসপনডেন্ট জোনাথন মারকাস। সাম্প্রতিক ইরান-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা চুক্তিটির মৃত্যু নিশ্চিত করছে বলে মনে করছেন তিনি।