পরাজয়ের পর ১২ ঘণ্টা ধরে চুপচাপ ট্রাম্প
ব্যাটলগ্রাউন্ডখ্যাত পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে পপুলার ভোটে জো বাইডেন জেতার পর নিশ্চিত হয়ে যায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী বছর আর হোয়াইট হাউসে থাকতে পারছেন না। রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর পরাজয় যখন অবশ্যম্ভাবী, ক্ষুব্ধ কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ করছেন; তখন তিনি নিশ্চিন্তে গলফ খেলেছেন।
গণমাধ্যমে বাইডেনকে বিজয়ী ঘোষণার সময় ট্রাম্প ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের স্টার্লিংয়ে নিজের গলফ ক্লাবে গলফ খেলছিলেন।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নিয়মিত টুইট করে সক্রিয় থাকা ট্রাম্প তাঁর পরাজয়ের পর কিছুটা নিস্ক্রয় হয়ে আছেন। পরাজয়ের পর গত ১২ ঘণ্টায় কোনো টুইট বা ফেসবুক পোস্ট করেননি বিদায়ী এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
নির্বাচন নিয়ে ১২ ঘণ্টা আগে একটি টুইট করেছিলেন ট্রাম্প। সেই পোস্টে তিনি লেখেন, সাত কোটি ১০ লাখ বৈধ ভোট। ক্ষমতাসীন কোনো প্রেসিডেন্টের পক্ষে এটিই সর্বোচ্চ! এরপর থেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে চুপচাপ আছেন ট্রাম্প।
এর আগে জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিসের জয়কে অস্বীকার করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। টুইট-বার্তায় অভিযোগ করেন, নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির।
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে বিভাজন সৃষ্টিকারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনে রাখবেন বলে মার্কিন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা। সাদা-কালো, নারী-পুরুষ, অভিবাসী-মার্কিন ইত্যাদি নানাভাবে তিনি বিভাজন সৃষ্টি করেছেন। ক্ষমতায় এসেই ধর্মের কথা বলে নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে ছয় মুসলিম দেশের ওপর আরোপ করেছিলেন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। শ্বেতাঙ্গ পুলিশের নির্মম হামলায় কৃষ্ণাঙ্গ যুবক হত্যার সময় নীরব ছিলেন ট্রাম্প। কৃষ্ণাঙ্গ, এশীয়সহ বিভিন্ন অশ্বেতাঙ্গ জাতিগোষ্ঠীর ওপর যখন শ্বেতাঙ্গরা হামলা চালায়, ততবারই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সরবে বা নীরবে হামলাকারীদেরই পক্ষ নেন।
শেষ পর্যন্ত ব্যালটে ট্রাম্পকে বিদায় দিয়েছেন মার্কিনিরা। তবে পরাজয় মেনে নেননি এই রিপাবলিকান প্রার্থী।
রিপাবলিকান শীর্ষ নেতাদের অনেকেই বলেছেন, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ভোট ও নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে যেসব অস্পষ্ট অভিযোগ তুলছেন, তা দেশটির গণতান্ত্রিক কাঠামোর জন্যই ক্ষতিকর। এই ক্ষতি সহজে পুষিয়ে ওঠা যাবে না। তবু ট্রাম্প বলছেন, তিনি মামলা করবেন।