পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি আর নেই
পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি (৭৫) মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সময় রাত সোয়া ৯টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
কলকাতার সাবেক মেয়র সুব্রত মুখার্জির মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এর আগে গত ২৫ অক্টোবর অসুস্থ বোধ করলে তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর ইন্ডিয়ার এক্সপ্রেসের।
সুব্রত মুখার্জির রাজনৈতিক উত্থান ষাটের দশকে। পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের আমলে মাত্র ২৬ বছর বয়সে রাজ্যের মন্ত্রী হন সুব্রত মুখার্জি।
দীর্ঘ বাম শাসনে কংগ্রেস রাজনীতি মূলত প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি, সৌমেন মিত্র এবং সুব্রত মুখার্জির কাঁধে ভর করে চলছিল। প্রিয় ও সৌমেন আগেই মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার সুব্রতও চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
বাম আমলে ২০০০ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন সুব্রত। ২০০১ সালে নির্বাচিত হয়েছিলেন কলকাতার মেয়র। টানা পাঁচ বছর মেয়র থাকাকালীন সুব্রত পরিচয় দেন তাঁর প্রশাসনিক দক্ষতার।
কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গোলমালের জেরে তৃণমূল ছাড়েন সুব্রত। পরে অবশ্য ২০১০ সালে তৃণমূলে ফেরেন সুব্রত। ২০১১ থেকে টানা মন্ত্রী সুব্রত। গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেন, ‘আমি জীবনে অনেক বিপর্যয় দেখেছি। কিন্তু, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু আমার জীবনের সবচেয়ে বড় বিপর্যয়। দল ও নির্বাচনি এলাকার মানুষকে ভালোবাসতেন এমন একজন মানুষ আর আসবে না। গোয়া থেকে ফিরে আসার পর আমি হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি আমাকে বলেছিলেন, তিনি জেলাগুলোতে তাঁর সফর পুনরায় শুরু করতে চান। আজ আমি এসএসকেএম হাসপাতালের প্রিন্সিপালের কাছে তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নিয়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন—তাঁকে আগামীকাল ছুটি দেওয়া হবে। কিন্তু সন্ধ্যায় তাঁর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। চিবিৎসকরা তাঁকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।’