পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় হাতাহাতি, বিজেপির পাঁচ বিধায়ক বহিষ্কার

Looks like you've blocked notifications!
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির বিধায়কদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। ছবি : সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির বিধায়কদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার জেরে বিজেপির পাঁচ বিধায়ককে বহিষ্কার (সাসপেন্ড) করা হয়েছে।

রাজ্যরে বীরভূম জেলার রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের নৃংশস ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তাল হয়ে উঠে বিধানসভা চত্বর। পোশাক ধরে টানাটানি, মারপিট, এমনকি ঘুসি মেরে নাক ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। এ ঘটনায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীসহ পাঁচ বিধায়ককে বহিষ্কার করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবার বাজেট অধিবেশনের শেষ দিন রামপুরহাটের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতি দাবি করেন বিরোধীরা। সেই সঙ্গে গোটা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির অভিযোগ তুলে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তাঁরা।

এসময় প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। স্পিকারের চেয়ার ঘিরে ধরেন তাঁরা। তখন সেই জায়গায় চলে আসেন তৃণমূলের বিধায়করাও। দুপক্ষের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি।

জামার কলার ধরে টানাটানি শুরু হয়ে যায় বিধায়কদের মধ্যে। ধস্তাধস্তির মধ্যেই মাটিতে পড়ে যায় বিধায়ক নরহরি মাহাত। বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গার জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। আরেক বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির চুলের মুঠি ধরে টানা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। হাতাহাতিতে তৃণমূলের বিধায়ক অসিত মজুমদারের নাক ফেটে যায়।

পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে অ্যাম্বুলেন্সও ডাকতে হয়। অসিম মজুমদারকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।

ওই ঘটনার পরই বিজেপির বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ টিগ্গা, শঙ্কর ঘোষ, দীপক বর্মণ ও নরহরি মাহাতোকে বহিষ্কার করেন স্পিকার। গোটা ঘটনার জন্য শুভেন্দু অধিকারীর সমালোচনা করে স্পিকার বলেন, ‘বিধানসভা শুধু হট্টগোল করার জন্য নয়। আপনারাই অধিবেশন চলতে দিচ্ছেন না।’

গোটা ঘটনায় দুপক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার বীরভূমের ওই গ্রামে তৃণমূলের এক নেতাকে হত্যার ঘটনায় একাধিক বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়, রাতভর চলে বোমাবাজি। এই ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে দমকল বাহিনী।