পাঁচ লাখ টাকার হুইস্কির বোতলের সন্ধানে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

Looks like you've blocked notifications!
২০১৯ সালে জাপানের ওসাকায় জি৭ সম্মেলনে যোগ দেন তৎকালীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে জাপান সরকারের উপহার হিসেবে দেওয়া পাঁচ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার (প্রায় পাঁচ লাখ টাকা) দামের একটি হুইস্কির বোতলের খোঁজ মিলছে না৷ সেটি কোথায় গেল তা অনুসন্ধান করছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর৷ যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস এ নিয়ে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে৷

নিয়ম অনুযায়ী, মার্কিন কর্মকর্তারা ৩৯০ ডলারের কম মূল্যের উপহার নিজেদের কাছে রাখতে পারেন৷ এর বেশি মূল্যের উপহার রাখতে চাইলে তার মূল্য পরিশোধ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে৷ কিন্তু, পম্পেওর ক্ষেত্রে সেটি হয়নি৷

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও দায়িত্বে থাকাকালে ২০১৯ সালের জুনে রাষ্ট্রীয় সফরে জাপান যান। সে সময় জাপান সরকার তাঁকে একটি হুইস্কির বোতল উপহার দেয়, যার মূল্য ছিল পাঁচ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় চার লাখ ৯২ হাজার ৮৯৩ টাকা)৷ মেয়াদকালে বিদেশ থেকে ট্রাম্প প্রশাসনের পাওয়া অন্য উপহারের হদিস থাকলেও পররাষ্ট্র দপ্তরে এটির সন্ধান মিলছে না৷ এই বিষয়ে মাইক পম্পেওর নিজেরও কোনো ধারণা নেই বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী উইলিয়াম ব্রুক।

জার্মানির সংবাদ সংস্থা ডয়চে ভেলে জানায়, গত ২২ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল পররাষ্ট্র বিভাগের অধীনে চিফ অব প্রটোকলের একটি বিজ্ঞপ্তিতে এই উপহারের হদিস না পাওয়ার তথ্য উল্লেখ করা হয়৷ সেখানে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র দপ্তর বিষয়টি খতিয়ে দেখছে এবং এ নিয়ে তদন্ত চলছে৷

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে পম্পেওর আইনজীবী উইলিয়াম ব্রুক জানিয়েছেন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুইস্কির বোতলটি গ্রহণের বিষয়ে কিছু মনে করতে পারছেন না এবং সেটি কোথায় গেছে সেই বিষয়েও তাঁর কোনো ধারণা নেই৷ তবে, জানতে চাইলে পররাষ্ট্র দপ্তর এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি৷

দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পম্পেও নিজে উপহারটি গ্রহণ করেছিলেন কি না, সেটি পরিষ্কার নয়৷ কেননা জাপান সরকার যখন পররাষ্ট্র দপ্তরকে এই উপহারটি হস্তান্তর করে, তখন তিনি সৌদি আরব সফরে ছিলেন।

তবে, গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে তিনি ও তাঁর স্ত্রী ফেডারেল সরকারের নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ব্যক্তিগত কাজে ১০০ বারের বেশি করদাতাদের অর্থ খরচ করেছেন৷ পম্পেও এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ত্রুটিপূর্ণ তথ্যের ওপর নির্ভর করে প্রতিবেদনটি করা হয়েছে, যা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত৷