পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে হিট স্ট্রোকে ১১ জনের মৃত্যু

Looks like you've blocked notifications!
অনুষ্ঠানে তাপপ্রবাহের মধ্যে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়। ছবি : পিটিআই

পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে খোলা আকাশের নিচে প্রচণ্ড গরমে বসে থাকার কারণে হিট স্ট্রোকে ১১ জন মারা গেছেন। এছাড়া তাপজনিত স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে ৫০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ভারতের মহারাষ্ট্রে ভূষণ পুরস্কার প্রদানকালে গতকাল রোববার (১৬ এপ্রিল) এ ঘটনা ঘটে। 

মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নাবিস এ তথ্য জানিয়েছেন। অসুস্থদের দেখতে হাসপাতাল গেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। খবর এনডিটিভির। 

গতকাল রোববার নভি মুম্বাইতে ওই অনুষ্ঠানে সামাজিক কর্মী আপ্পাসাহেব ধর্মাধিকারিকে মহারাষ্ট্র সরকার প্রবর্তিত পুরস্কার প্রদান করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে গতকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

নভি মুম্বাইয়ের একটি বিশাল মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আপ্পাসাহেবের লাখো ভক্ত-অনুসারী জড়ো হয়েছিলেন। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানটি বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হয়ে চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত।

মাঠটি মানুষে পরিপূর্ণ ছিল। অনুষ্ঠানে তাদের জন্য বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে তাদের ওপরে কোনো শেড ছিল না। ঘটনাটিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে অভিহিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। নিহতদের পরিবারের জন্য ৫ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

অসুস্থদের দেখার পর হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এসে একনাথ শিন্ডে সাংবাদিকদের বলেন, ‘চিকিৎসকদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, আজ ৭ থেকে ৮ জন মারা গেছে। প্রায় ৫০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২৪ জন এখনও চিকিৎসাধীন আছেন এবং বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’ 

উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নাবিস টুইট করেন, যারা তাপজনিত অসুস্থতায় ভুগছেন, তাদের চিকিৎসার জন্য সরকার অর্থ প্রদান করবে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ও বেদনাদায়ক, মহারাষ্ট্র ভূষণ পুরস্কার অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া কিছু মানুষ হিটস্ট্রোকের কারণে মারা গেছেন...। আমরা তাদের পরিবারের কাছে শোক প্রকাশ করছি।’

ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) গত বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) জানিয়েছে, পাঁচ দিনের মধ্যে দেশের কিছু অংশে তাপমাত্রা ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাবে। ১৯০১ সাল থেকে ভারত এই বছরের সবচেয়ে উষ্ণতম ফেব্রুয়ারি কেটেছে বলে জানিয়েছে আইএমডি। তবে মার্চে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ায় তাপমাত্রা সহনীয় ছিল।