পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধে ক্ষুব্ধ ভারতীয় কৃষকেরা

Looks like you've blocked notifications!
এক মাসের ব্যবধানে ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়ে প্রতি কেজি ৪০ রুপি দরে বিক্রি হচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন দেশটির মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, কর্ণাটক ও মহারাষ্ট্রের কৃষকেরা। ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে বন্যার কারণে দেশটিতে পেঁয়াজের দাম তিন গুণ বেড়ে যাওয়ায় পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর আচমকা নিষেধাজ্ঞা আসে।

পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ভারতের কৃষক, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিকরাও। তাঁরা বলছেন, মৌসুমি বৃষ্টিপাতে ক্ষয়ক্ষতির পর পেঁয়াজ উৎপাদনকারী অঞ্চল মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, কর্ণাটক ও মহারাষ্ট্রের কৃষকেরা যখন ভালো মূল্য পেতে শুরু করেছে; তখনই রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত এলো।

ভারতীয় এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে বলেন, ‘আমরা ক্ষুব্ধ। পেঁয়াজ গুদামে সংরক্ষণ করা এখন কঠিন হবে। রপ্তানি বন্ধ করায় পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাবে। এত পেঁয়াজ আমরা এখন কোথায় বিক্রি করব? ভারতেও যে দাম কমে যাবে, তা নয়।’

ভারতীয় একজন কৃষক বলেন, ‘পেঁয়াজ রপ্তানি করায় আমরা কৃষকরা লাভবান হচ্ছিলাম। অনেক ক্ষয়ক্ষতির পর ভালো মূল্য পাচ্ছিলাম আমরা। আর তখনই সরকার রপ্তানি বন্ধ করে দিল।’

শুধু মহারাষ্ট্র নয়, সারা ভারতের কৃষকেরা পেঁয়াজের রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে জানান সর্বভারতীয় কিষাণ সভার সাধারণ সম্পাদক ড. অজিত নাভালে। তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত না বদলালে কৃষকরা এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামবেন।

কৃষক নেতা অজিত নাভালে অভিযোগ করেন, বিহারে আসন্ন নির্বাচনে সুবিধা নিতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেখানে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। ফের ক্ষমতায় আসার আকাঙ্ক্ষায় দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারের রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস নেতা ও মহারাষ্ট্র রাজ্যের জোট সরকারের অন্যতম অংশীদার শারদ পাওয়ার। এক টুইটে তিনি বলেছেন, ‘নিষেধাজ্ঞার কারণে উপসাগরীয় বিভিন্ন দেশসহ শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজারে ভারতের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং তাতে লাভবান হবে উৎপাদনকারী পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ।’