পেঁয়াজের ঝাঁজে নাকাল পশ্চিমবঙ্গবাসী

Looks like you've blocked notifications!

পেঁয়াজের ঝাঁজে জেরবার পশ্চিমবঙ্গবাসী। চলতি মৌসুমে পশ্চিমবঙ্গের খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ন ৮০ রুপি কেজিতে। কোথাও কোথাও সেই দর ৯০ থেকে ১০০ রুপিতেও পৌঁছে গেছে। স্বভাবতই পেঁয়াজের এই অগ্নিমূল্যে নাকাল সাধারণ মানুষ।

পেঁয়াজের দর আকাশছোঁয়ার কারণে এখন অনেকেই খাবারের থালায় পেয়াজের বিকল্প বেছে নিচ্ছেন। কলকাতার ফুটপাতের হোটেলগুলোতে এখন কাঁচা পেঁয়াজের বদলে ঝাঁজযুক্ত মুলার টুকরো দেওয়া হচ্ছে। কলকাতার সল্টলেক এলাকার একাধিক ফুটপাতের হোটেল মালিকরা জানালন, যে হারে গত কয়েক মাসে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, তাতে খাবারের পাতে ক্রেতাদের পেঁয়াজ দেওয়া দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে।

পেঁয়াজের এই দর বৃদ্ধির পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বাজারগুলোতে এখন কাঁচা শাকসবজির দরও লাগামছাড়া হতে আরম্ভ করেছে। শীতকালীন মৌসুমের শুরুতেই বাজারের এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে ময়দানে নামতে চলেছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এরই মধ্যে তিনি জানিয়েছেন, আগামী সাত থেকে আট দিনের মধ্যে পেঁয়াজসহ কাঁচা শাকসবজির বাজারদর নিয়ন্ত্রণ করা হবে। পাশাপাশি পেঁয়াজ নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। মমতা বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি দাম নিচ্ছেন। আলু ও ফুলকপির দামও বেশি নিচ্ছেন। তার ওপর পেঁয়াজ নিয়ে তো সমস্যা রয়েছেই।

মমতা বলেন, ‘নাসিকের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছিল ২৫ রুপি কিলো দরে আমাদের পেঁয়াজ দেওয়ার। কিন্তু ওরা সেই চুক্তি মানছে না। ফলে পেঁয়াজের দর লাগাম ছেড়েছে। তার ওপর কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অন্যায়ভাবে পেঁয়াজ গোডাউনে মজুদ করে রাখার কারণেও বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।’

এরই মধ্যে কলকাতা ও শহরতলির বাজারগুলোতে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। সেইসঙ্গে পেঁয়াজের দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সুফল বাংলার দোকানগুলোতে কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করারও নির্দেশ দেন মমতা। তিনি জানান, সুফল বাংলার দোকানে আজ শুক্রবার থেকে ১৫ রুপি কিলো দরে আলু এবং কেজি প্রতি ৫৯ রুপিতে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে।