পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি, কলকাতার কফি হাউসে মিলছে না ‘অনিয়ন পাকোড়া’

Looks like you've blocked notifications!

পেঁয়াজের দামের ঝাঁঝের কারণে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী কফি হাউসে বানানো বন্ধ হয়ে গেল বিখ্যাত ‘অনিয়ন পাকোড়া’। সেইসঙ্গে কফি হাউসের বিভিন্ন পেঁয়াজনির্ভর খাদ্য তালিকাতেও পড়েছে ছাটাইয়ের কোপ।

ভারতজুড়ে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে গৃহস্ত বাড়ি থেকে থেকে শুরু করে নামিদামি রেস্তরাঁ মালিকদের এখন মাথায় হাত। আগে সপ্তাহব্যাপী যে পরিমাণ পেঁয়াজ লাগত, এখন তার এক-চতুর্থাংশ কিনতে হচ্ছে। একদম না দিলেই নয়, এমন তরকারিতেই কেবল দেওয়া হচ্ছে পেঁয়াজ।

পেঁয়াজের দুর্মূল্যের কারণে কলকাতার কফি হাউসের বিখ্যাত ডিশ ‘অনিয়ন পাকোড়া’ এখন কার্যত উধাও। সেইসঙ্গে মাটন আফগানি, চিকেন আফগানি, বেকড ফিশও আপাতত ‘রিজার্ভড বেঞ্চে’। রান্নায় বেশি পেঁয়াজ লাগার কারণে এই মেন্যুগুলোর বিক্রি এখন বন্ধ থাকবে বলেই কফি হাউস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। পেঁয়াজের চড়া দামের কারণেই মেন্যু থেকে ‘অনিয়ন পাকোড়া’ বাদ দিয়ে দিল ইন্ডিয়ান কফি হাউস।

কলকাতার বইপাড়ায় গিয়ে কফি হাউসে বসে ‘অনিয়ন পাকোড়া’ চেখে দেখেননি, এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। যাঁরাই কফি হাউসে এসেছেন, তাঁদের প্রথম পছন্দ ‘অনিয়ন পাকোড়া’। ৩২ টাকায় ‘অনিয়ন পাকোড়া’ দৈনিক বিক্রিও হয়েছে শতাধিক প্লেট, জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, পেঁয়াজের আকাশছোঁয়া দামের কারণে আর সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। তাই ‘সিগনেচার ডিশ’ হওয়া সত্ত্বেও গত শুক্রবার থেকে ‘অনিয়ন পাকোড়া’ বিক্রি বন্ধ করে দিতে হলো। দাম কমলে আবার তা চালু করা হবে বলে জানানো হয়েছে। কফি হাউসে এমন ঘটনার অবশ্য এই প্রথম নয়। বছর কয়েক আগে পেঁয়াজের দামবৃদ্ধিতে একবার কয়েকদিনের জন্য ‘অনিয়ন পাকোড়া’ বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছিল বলে দাবি কফি হাউস কর্তৃপক্ষের। তবে এবার যেভাবে দামবৃদ্ধির রেকর্ড পেঁয়াজ প্রতিদিনই ভাঙছে, তাতে কবে আবার কফি হাউসে ‘অনিয়ন পাকোড়া’ চালু হবে কি না, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউই।

কফি হাউস কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, বিভিন্ন আইটেমের জন্য প্রতিদিন ৪০ কেজি করে পেঁয়াজ লাগে। কয়েকটি মেন্যু বাদ দিয়ে এখন পেঁয়াজ ১৫ থেকে ২০ কেজি পেঁয়াজ কিনে চালানো হবে। আর সালাদে শসা, বিট ও গাজর বেশি থাকবে। সালাদে পেঁয়াজ নামমাত্র ছোঁয়ানো হবে। যাতে পেঁয়াজের গন্ধটা অন্তত থাকে।