পোস্টারে ‘আল্লামা ইকবালের’ ছবি, ক্ষমা চাইতে হলো শিক্ষককে

Looks like you've blocked notifications!
ভারতের উত্তর প্রদেশের বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের নামফলক।ছবি : সংগৃহীত

ভারতের উত্তর প্রদেশের বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএইচইউ) উর্দু বিভাগের একটি ওয়েবিনার পোস্টারে উর্দু কবি মুহাম্মদ ইকবালের ছবি ব্যবহার করায় চাপের মুখে পড়ে ক্ষমা চেয়েছেন শিক্ষক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। উর্দু কবি মুহাম্মদ ইকবালআল্লামা ইকবাল হিসেবেই বেশি পরিচিত।

হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) একদল নেতাকর্মীর চাপের মুখে এ বিষয়ে ভুলস্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন বিএইইউ’র উর্দু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আফতাব আহমেদ।

ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি সতর্কতামূলক চিঠি ইস্যু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়াও এ ঘটনা খতিয়ে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিএইচইউ’র উর্দু বিভাগ প্রতি বছর ৯ নভেম্বর কবি ইকবালের জন্মদিন ‘উর্দু দিবস’হিসেবে পালন করে থাকে, এবারও ওই দিনটিতে তারা একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করেছিল। সেই ওয়েবিনারের পোস্টারে কবি ইকবালের ছবি নিয়ে আলোচনা তোলেন এবিভিপি’র নেতাকর্মীরা। এই ইস্যুতে তারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একাধিক বিক্ষোভ-সমাবেশও করে। একজন পাকিস্তানি নায়ককে কেন বিএইচইউ সম্মান দেখাবে, সেই প্রশ্ন তুলে কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়।

ওয়েবিনারের পোস্টারে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা পণ্ডিত মদন মোহন মালাভিয়া’র ছবি ব্যবহার না করার বিষয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট ডিন কবি মুহাম্মদ ইকবালের ছবি সরিয়ে পণ্ডিত মদন মোহন মালাভিয়ার ছবিযুক্ত একটি সংশোধিত পোস্টার টুইটে পোস্ট করেন।

বিএইচইউ’র উর্দু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আফতাব আহমেদ এদিন এক আনুষ্ঠানিক চিঠিতে ক্ষমা চেয়েছেন।

মুহাম্মদ ইকবাল বিখ্যাত দেশাত্মবোধক গান ‘সারে জাঁহাসে আচ্ছা হিন্দুস্তাঁ হামারা’র রচয়িতা ও গীতিকার। ১৯০৪ সালে লেখা এই গান আল্লামা ইকবালকে তুমুল জনপ্রিয়তা দিয়েছিল। আজকের ভারতেও গানটি ভীষণভাবে সমাদৃত।

কবি ইকবাল পরে দ্বিজাতি তত্ত্বের একজন প্রবল সমর্থক হয়ে ওঠেন, ভারত ভাগ করে আলাদা পাকিস্তান তৈরির পক্ষেও জোরালো দাবি জানাতে শুরু করেন।১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির বছরদশেক আগেই লাহোরে তাঁর মৃত্যু হয়।মৃত্যুর পরে তিনি পাকিস্তানের জাতীয় কবির সম্মান পান।