প্রতিরক্ষা বিলে ভেটো দিলেন ট্রাম্প

Looks like you've blocked notifications!
বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : সংগৃহীত

প্রতিরক্ষা ব্যয় বিলে ভেটো দিয়েছেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চলতি মাসেই ৭৪০ বিলিয়ন (৭৪ হাজার কোটি) মার্কিন ডলারের প্রতিরক্ষা ব্যয় বিলটি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় কংগ্রেসে পাস হয়। ট্রাম্প গতকাল বুধবার বলেছেন, এই বিলটি আসলে রাশিয়া ও চীনের জন্য উপহার। এই বিল আইন হলে তা কেবল অন্যায় হবে না, ‘অসাংবিধানিক’ হবে। যদিও সংবিধানের কোনো ব্যাখ্যা ট্রাম্প দেননি। সংবাদমাধ্য বিবিসি ও ডয়চে ভেলে এ খবর জানিয়েছে।

আগামী ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউস ছাড়তে হবে। নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন জো বাইডেন। তার আগে একাধিক বিতর্কিত পদক্ষেপ নিচ্ছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ শিবিরের বক্তব্য, প্রেসিডেন্টের পরামর্শদাতারা তাঁকে সামরিক বিলে ভেটো না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কারণ, বিলটি কংগ্রেসে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাস হয়েছিল। নিয়ম হলো, কংগ্রেসে বিল পাস হওয়ার পরে তা প্রেসিডেন্টের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। প্রেসিডেন্ট কোনো কারণে অনুমোদন না দিলে তা ফিরে আসে কংগ্রেসে। এরপর পার্লামেন্টের দুই কক্ষে বিলটি দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেলে প্রেসিডেন্টের অনুমোদন ছাড়াই তা আইন হয়ে যায়। এই বিলটির ক্ষেত্রে তেমনই ঘটনার সম্ভাবনা। ট্রাম্পের দলীয় রিপাবলিকান সিনেটররাও বিলটির পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এর আগে আটটি বিলে ট্রাম্প ভেটো দিয়েছিলেন। প্রতিটিই আইন হয়ে গিয়েছে। যদি কোনো কারণে ট্রাম্পের ভেটো কংগ্রেস মেনে নেয়, তা হলে ৬০ বছর পরে প্রতিরক্ষা বিল অনুমোদন পাবে না।

প্রতিরক্ষা ব্যয় বিলটিতে আফগানিস্তান ও ইউরোপ থেকে সেনা সরানোর ওপর কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। যা ট্রাম্পের পছন্দ নয়। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি বিষয়ে ট্রাম্প আপত্তির কথা জানিয়েছেন। কিন্তু ট্রাম্পের সঙ্গে একমত নন রিপাবলিকান সিনেটরেরা। বরং বেশির ভাগ সিনেটর মনে করছেন, সময়ের বিচারে বিলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিলে সামরিককর্মীদের তিন শতাংশ বেতনবৃদ্ধির কথাও বলা হয়েছে।

এ দিকে ট্রাম্প গতকাল বুধবার আরো আটজনের শাস্তি মওকুফ করেছেন। ক্ষমা করার অধিকার প্রয়োগ করে শাস্তি মওকুফ করেছেন তিনি। থ্যাংকসগিভিংয়ের সময় থেকেই ট্রাম্প একের পর এক ব্যক্তিকে ক্ষমা করছেন। গতকাল বুধবার নিজের দুই সাবেক পরামর্শদাতাকে ক্ষমা করেছেন ট্রাম্প। রাশিয়া-কাণ্ডে শাস্তি হয়েছিল তাঁদের। এ ছাড়া নিজের জামাতার বাবাকেও ক্ষমা করেছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের এই ঢালাও ক্ষমা নিয়েও মার্কিন রাজনীতিতে বিতর্ক শুরু হয়েছে।