প্রথমদিনই ট্রাম্পের বিভিন্ন সিদ্ধান্তে বদল আনলেন বাইডেন

Looks like you've blocked notifications!
নবনিযুক্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি : সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের কয়েকটি পদক্ষেপ পাল্টে দিতে শুরু করেছের জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা যে সংকটের মুখোমুখি হয়েছি, সেটি মোকাবিলা করতে অপচয় করার মতো সময় নেই।’

বাইডেন এরই মধ্যে ১৫টি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। এর মধ্যে করোনা মোকাবিলায় ফেডারেল এলাকা ও ফেডারেল কর্মীদের জন্য মাস্ক পরায় বাধ্যবাধকতা ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, নতুন অভিবাসন নীতি, প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফিরে আসা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় (ডব্লিউএইচও) পুনরায় যোগ দেওয়া ও মুসলিম দেশগুলো থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়গুলো রয়েছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

ক্ষমতাগ্রহণের আগে থেকেই করোনা মোকাবিলায় ট্রাম্প প্রশাসনের চেয়ে অধিক কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছিলেন বাইডেন। এরই অংশ হিসেবে মহামারিতে বিভিন্ন কাজ সমন্বিত করার জন্য একটি কার্যালয় করবে বাইডেন প্রশাসন। এ ছাড়া ডব্লিউএইচও থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসার বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপ বাতিল করছেন বাইডেন। ফলে পুনরায় ডব্লিউএইচওর সঙ্গে যোগ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিয়ে অনেক গুরুত্ব দিচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। আর সেজন্যই প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফিরে যাওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছেন বাইডেন। এর আগে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে এসেছিল ট্রাম্প প্রশাসন।

অন্যদিকে, বেশ কয়েকটি মুসলিম ও আফ্রিকান দেশের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপ করা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বাতিল করেছেন বাইডেন। এর আগে হুমকির কথা বলে দেশগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন ট্রাম্প।

স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টসের কাছে শপথবাক্য পাঠ করেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। আর ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস শপথ নিয়েছেন বিচারপতি সোনিয়া সোটোমেওরের কাছে। সংবাদমাধ্যম সিএনএন ও এনবিসি এ খবর জানিয়েছে।

নজিরবিহীন নিরাপত্তার মধ্যে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়। প্রথা ভেঙে নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেননি বিদায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প। শপথের আগেই হোয়াইট হাউস ছেড়ে ফ্লোরিডায় পাড়ি জমান তিনি।

শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, বিল ক্লিনটন ও জর্জ ডব্লিউ বুশ। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। ট্রাম্প না থাকলেও বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স।

শপথ নেওয়ার পর প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম ভাষণে বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বিভক্তিকে ছাপিয়ে সব সময় ঐক্যের জয় হয়েছে।

এ ছাড়া বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের সব মানুষের প্রেসিডেন্ট হওয়ার আশা ব্যক্ত করেন। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে শক্তিশালী যুক্তরাষ্ট্র গড়ে তুলতে চান বলেও অঙ্গীকার করেন।