প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তে বরিস জনসনের ওপর চাপ
লকডাউন চলাকালীন ড্রিংক্স পার্টিতে যোগ দেওয়ার কথা স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ার পরে এবার বরিস জনসনকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বলছেন তাঁর দলেরই জ্যেষ্ঠ নেতারা। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
করোনা মহামারির মধ্যে লকডাউনে জনসমাগম ছিল আইনত নিষিদ্ধ। সামাজিক আয়োজনে আরোপ করা হয়েছিল বিধিনিষেধ। শারীরিক দূরত্ব মেনে চলার নির্দেশনা ছিল। এর মধ্যেই নিজের বাসভবনে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি পার্টি আয়োজন করেছিলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ঘটনাটি ২০২০ সালের ২০ মের।
১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাগানে আয়োজিত যুক্তরাজ্যের শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের ওই আসরে বরিস জনসন এবং তাঁর স্ত্রী ক্যারি সিমন্ডস উপস্থিত ছিলেন। অতিথি ছিলেন শতাধিক। ওই সময় যুক্তরাজ্যে কোনো আয়োজনে একসঙ্গে এত মানুষের উপস্থিতি আইনত নিষিদ্ধ ছিল।
এ তথ্য প্রকাশ হওয়ার পর ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন বরিস জনসন। লকডাউনের বিধি লঙ্ঘন করে এমন আয়োজনের তদন্ত শুরু করেছে দেশটির পুলিশ। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে এমন পার্টিতে যোগ দেওয়ার পর সমালোচনার মুখে ক্ষমা চেয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে, উপপ্রধানমন্ত্রী ডমিনিক রাবসহ মন্ত্রিসভার সদস্যেরা বরিস জনসনের পাশে দাঁড়ালেও স্কটিশ টোরি নেতা ডগলাস রস এবং উইলিয়াম র্যাগ, ক্যারোলিন নোকস ও রজার গেলের মতো দলীয় সংসদ সদস্যেরা বরিসকে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ডগলাস রস বলেছেন, বরিস জনসন হাউস অব কমন্সে বুধবার ক্ষমা চাওয়ার পরে তাঁর সঙ্গে বেশ শক্ত ধরনের কথোপকথন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি নিজের অনাস্থার কথা ‘১৯২২ কমিটি’কে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবেন ডগলাস রস। এ কমিটি টোরি দলের নেতৃত্ব নির্ধারণী প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে।
ডগলাস রস বলেন, ‘তিনি (বরিস জনসন) প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সরকারই ওই বিধিনিষেধগুলো আরোপ করেছিল। তাঁকে তার কৃতকর্মের জন্য জবাবদিহি করতেই হবে।’
যদি ৫৪ জন ‘ব্যাকবেঞ্চ’ কনজারভেটিভ এমপি (সংসদ সদস্য) ১৯২২ কমিটিতে চিঠি পাঠান, তাহলে বরিস জনসনের নেতৃত্ব নিয়ে চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে।
এদিকে, ডাউনিং স্ট্রিট পার্টিতে কোভিড-নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগের বিষয়ে জ্যেষ্ঠ বেসামরিক কর্মচারী সু গ্রে’র তদন্তের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে এমপিদের অনুরোধ করেছেন জনসনের মন্ত্রীরা। তদন্তের ফলাফল শিগগিরই প্রকাশিত হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।