প্রভু রাম বহু বছর তাঁবুতে কাটিয়েছেন, এবার মন্দিরে থাকবেন : মোদি

Looks like you've blocked notifications!
ভারতের অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভূমিপূজা অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি : সংগৃহিত

ভারতের অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভূমিপূজা অনুষ্ঠানে এসে ‘সিয়াবর রামচন্দ্র কি জয়’ ও ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাবরি মসজিদের বিতর্কিত স্থানে রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে মোদি বলেন, ‘বহু বছর ধরে তাঁবুতে থাকতে হয়েছে প্রভু রামকে। এখন থেকে উনি এই মহামন্দিরে থাকবেন। রামভক্তদের তৈরি করা এই মন্দিরই রামজন্মভূমিকে উন্মুক্ত করল।’

মোদি আরো বলেন, ‘রাম সবার, রাম সবার মধ্যেই। প্রত্যেক জায়গায় ভিন্ন অবতারে প্রভু রামকে খুঁজে পাওয়া যাবে। প্রত্যেক চরিত্র রামের সঙ্গে সমার্থক। যাকে আমরা এককথায় ভারত বলি।’

এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, ১৯৯০ সালে রামমন্দির আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তিন দশক পর মন্দির নির্মাণের প্রথম ইট গাঁথলেন তিনি। অংশ নিলেন ভূমিপূজায়। এই আচার শেষ হতেই অনুষ্ঠানস্থলে ‘ভারত মাতা কি জয়’ ও ‘হর হর মহাদেব’ স্লোগান ওঠে। বেজে ওঠে শ্লোক আর ভজন।

প্রধানমন্ত্রী মোদি ছাড়াও পূজা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের চেয়ারম্যান নিত্যগোপাল দাস, আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দিবেন প্যাটেল। এ ছাড়া ছিলেন সাধু-সন্তরা। গণেশ পূজা দিয়ে শুরু হয় ভূমিপূজা।

আজ বুধবার মাত্র ৩২ সেকেন্ডের জন্য স্থায়ী হয় পুণ্যলগ্ন। ১২টা ৪৪ মিনিট ৮ সেকেন্ড থেকে ১২টা ৪৪ মিনিট ৪০ সেকেন্ড পর্যন্ত সেই মহরত স্থায়ী থাকবে বলে আগেই জানানো হয়েছিল।

ঘড়ির কাঁটা দেখে ঠিক ১২টা ৪৪ মিনিটে শুরু হয় বিশেষ পূজা। শুভ সময় শেষ হওয়ার আগেই শেষ হয় পূজা। সেখান থেকে মোদি চলে যান মূল মঞ্চে।

নির্ধারিত সময়ে এদিন অযোধ্যায় আসেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে যান হনুমান-গড়িতে। সেখানে আরতি করেন। এরপর সেখান থেকে যান রামলালার অস্থায়ী মন্দিরে।

ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুসারে গঠিত হয় রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য তারা ৫ আগস্ট চূড়ান্ত দিন নির্ধারণ করে। সে অনুযায়ী, আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় অযোধ্যায় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে মোদি উপস্থিত থাকলেও তার সবচেয়ে আস্থাভাজন তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় উপস্থিত থাকতে পারেননি।