প্রসাদ বিতরণের মতো করোনা ছড়াবে কুম্ভমেলার পুণ্যার্থীরা : মুম্বাই মেয়র

Looks like you've blocked notifications!
উত্তরাখণ্ড রাজ্যের হরিদ্বারে অনুষ্ঠিত কুম্ভমেলা থেকে করোনা ব্যাপক হারে ছড়ানোর আশঙ্কা ভারতে ক্রমেই বাড়ছে। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের হরিদ্বারে অনুষ্ঠিত কুম্ভমেলা নিয়ে দেশটিতে ক্রমেই আতঙ্ক বাড়ছে। পূণ্য লাভের আশায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের গঙ্গা স্নানের উৎসব এই মেলা করোনার মহাসংক্রামক উৎস না হয়ে দাঁড়ায়, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় প্রশাসন। এই যখন পরিস্থিতি, মেলা ফেরত পুণ্যার্থীদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বৃহন্মুম্বাই পৌর এলাকার মেয়র কিশোরী পেদনেকার। সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুস্তান টাইমস এ খবর জানিয়েছে।

করোনার সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে যখন নাকাল গোটা ভারত, তখনই কুম্ভমেলা উপলক্ষে হরিদ্বারে ভিড় জমিয়েছেন হাজার হাজার পুণ্যার্থী। গতকাল শনিবার বৃহন্মুম্বাই পৌর এলাকার মেয়র কিশোরী পেদনেকার বলেন, ‘কুম্ভমেলা থেকে নিজেদের রাজ্যে ফিরে যাওয়া ব্যক্তিরা প্রসাদ বিতরণের মতো করোনা ছড়াবে। এই ব্যক্তিদের নিজ খরচে কোয়ারেন্টিনে রাখা উচিত।’

এর আগে গতকাল সকালেই প্রতীকী কুম্ভমেলা আয়োজনের পক্ষে মত দিয়েছিলেন করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপরই এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কিশোরী পেদনেকার।

এদিন কিশোরী পেদনেকার আরও বলেন, ‘৯৫ শতাংশ মুম্বাইবাসী করোনার বিধিনিষেধ মেনে চলছেন। তবে পাঁচ শতাংশ মানুষ এসব বিধিনিষেধ মানছে না। আর এই পাঁচ শতাংশের জেরেই সমস্যায় পড়ছে অনেকে। আমার মতে করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে মুম্বাইতে পূর্ণ লকডাউন জারি করা উচিত।’

এদিকে গত শুক্রবারের তথ্য অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রে একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয় ৬৩ হাজার ৭২৯ জন। এ ছাড়া সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৯৮ জনের। দৈনিক সংক্রমণের হিসাবে এটাই সে রাজ্যের রেকর্ড।

এদিকে গতকাল সকালে প্রতীকীভাবে কুম্ভমেলা পালনের আহ্বান জানান নরেন্দ্র মোদি। মহামারিকে নিয়ন্ত্রণে আনতেই এই আহ্বান জানান তিনি। এদিন টুইট করে মোদি লেখেন, ‘এরই মধ্যে হিন্দু ধর্ম আচার্য সভার সভাপতি স্বামী অবধেশানন্দ গিরিজি মহারাজের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি আমি। আমি তাঁকে বলেছি, কুম্ভমেলার মতো যেকোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দলে দলে পুণ্যার্থীরা এক জায়গায় জড়ো হন। যার ফলে সংক্রমণ মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে।’