প্রিন্স ফিলিপের শেষকৃত্য সম্পন্ন
ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী ডিউক অব এডিনবরা প্রিন্স ফিলিপকে শুধু পরিবার পরিজনদের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় আয়োজনে শেষ বিদায় জানানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার ফিলিপের শেষকৃত্যানুষ্ঠানর পর উইন্ডসোর দুর্গে সেন্ট জর্জেস গির্জা প্রাঙ্গণে তাঁকে সমাহিত করা হয়। এর মধ্য দিয়েই ব্রিটিশ রাজপরিবারের দীঘর্তম জুটির অধ্যায়ের অবসান হয়।
করোনাভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রিন্স ফিলিপের অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ায় অংশ নেন রাজপরিবারের ৩০ জন সদস্য।
রাজপরিবারে বর্ণবাদের অভিযোগ ওঠার পর দাদা ফিলিপের অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ার এই অনুষ্ঠান দুই ভাই প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারিকে প্রথমবার জনসমক্ষে কথা বলা সুযোগ করে দেয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে ৯৪ বছরের রানী এলিজাবেথ কালো রঙের পোশাকে ছিলেন। তাঁর ও ফিলিপের ৭৩ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তিতে স্বামীর প্রতি শ্রদ্ধাবনত ছিলেন তিনি।
সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন তাঁর ছেলে প্রিন্স চার্লস এবং পরিবারের অন্যান্য জ্যেষ্ঠ সদস্য।
প্রিন্স হ্যারি যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ভাইয়ের পাশে হাঁটেন এবং কথা বলেন। আলাপ করেন ভাবী কেট মিডলটনের সঙ্গেও।
৯ এপ্রিল ৯৯ বছর বয়সে প্রিন্স ফিলিপ উইন্ডসর দুর্গে মৃত্যুবরণ করেন।
নিজের পছন্দমতো নকশা করা জলপাই রঙের ল্যান্ড রোভারে করে শেষযাত্রায় নেওয়া হয় প্রিন্স ফিলিপকে।
মহামারীর কারণে বিধিনিষেধ থাকায় তার মরদেহ সাধারণ জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শায়িত রাখা হয়নি। তবে পুরো অনুষ্ঠানটি টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।