‘ফুরিয়ে যাচ্ছে’ ব্রিটিশ সেনাদের অস্ত্রভাণ্ডার!
ইউরোপের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত যুক্তরাজ্যসহ ন্যাটো মিত্র দেশগুলোর পদাতিক সৈন্যদের অস্ত্রভাণ্ডার ক্রমে ফুরিয়ে আসছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে অস্ত্রশূন্য হয়ে যেতে পারে ওই অঞ্চলে মোতায়েন ব্রিটিশ সেনারা। প্রতিরক্ষাবিষয়ক একটি বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের (রুসি) গবেষণায় দেখা গেছে, ব্রিটিশ সেনাদল ও ন্যাটো মিত্রদের অস্ত্র ও গোলাবারুদের মজুদ প্রায় শেষ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
গবেষণায় বলা হয়, যুক্তরাজ্য ও ন্যাটো মিত্র দেশগুলো যথাযথ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বজায় রাখতে রাখবে না।
তবে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ন্যাটোর সঙ্গে এ বিষয়ে কাজ করছে যুক্তরাজ্য এবং ‘নেতৃত্ব দেওয়ার মতো যথেষ্ট অস্ত্র তাদের রয়েছে’।
আগামী সপ্তাহে ন্যাটো জোটের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে জোটের নেতাদের লন্ডনে একটি বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।
পূর্ব ইউরোপে রাশিয়ার কোনো ধরনের আগ্রাসন ঠেকাতে সামরিক বাহিনী মোতায়েন রেখেছে যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্র।
এ মুহূর্তে এস্তোনিয়ায় প্রায় ৮০০ ব্রিটিশ সেনা মোতায়েন রয়েছে। সর্বপ্রথম ২০১৭ সালে এ অঞ্চলে সেনা পাঠায় যুক্তরাজ্য।
রুসির গবেষণায় দেখা গেছে, পূর্ব ইউরোপে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর তুলনায় ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সমরাস্ত্র সক্ষমতা অনেক কম।
ন্যাটো ও রাশিয়ার মধ্যে যদি ভয়াবহ সংঘাত বাধে, তেমন পরিস্থিতিতে দুই পক্ষের সামরিক শক্তিমত্তা কতটুকু—সে বিষয়টি বিবেচনা করে গবেষণাটি করেছে রুসি। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি তেমন পর্যায়ে যায়নি। তবে তেমন কিছু হলে শক্তিশালী সামরিক বাহিনী পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছে যুক্তরাজ্য।
রুসির গবেষণা বলছে, এ মুহূর্তে ব্রিটিশ সেনারা ‘প্রায় অস্ত্রশূন্য ও ক্ষমতাহীন’ অবস্থায় রয়েছে। যার ফলে শত্রুবাহিনী সহজেই তাদের পরাজিত করতে সক্ষম।
অন্যদিকে, নিজেদের সামরিক সক্ষমতার প্রমাণ বেশ অনেক দিন আগেই দিয়েছে রাশিয়া। ২০১৪ সালে কয়েক মিনিটের মধ্যেই ইউক্রেনের দুটি ব্যাটালিয়নকে ধ্বংস করে দিয়েছিল রাশিয়া। সে তুলনায় যুক্তরাজ্য ও ন্যাটো জোটের দেশগুলোর স্থলযুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র, গুলি ও যানবাহন অপ্রতুল বলে জানিয়েছে রুসির গবেষণা প্রতিবেদন।