বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

Looks like you've blocked notifications!
কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী সামদেখ আক্কা মহা সেনা পাদেই তেখো হুন সেন। ফাইল ছবি

কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী সামদেখ আক্কা মহা সেনা পাদেই তেখো হুন সেন এক ভিডিও বার্তায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আজ আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে কম্বোডিয়ার সরকার ও জনগণের পক্ষে শুভেচ্ছা বার্তা প্রদান করতে পেরে অত্যন্ত সম্মানিত ও আনন্দিত।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১০ দিনের কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে ‘মহাকালের তর্জনী’ প্রতিপাদ্য নিয়ে একটি রেকর্ডকৃত অনুষ্ঠান সম্প্রচারের সময়ে এই বার্তাটি প্রচার করা হয়।

কোভিড-১৯ মহামারির কারণে হুন সেন ব্যক্তিগতভাবে এ ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে না পারলেও তিনি প্রয়াত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাস্তবানুগ দূরদর্শী নেতৃত্ব অনুসরণ করে বিগত দশকে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জনের জন্য বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের প্রশংসা করেন।

কম্বোডিয়ান প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে বাংলাদেশ উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক অগ্রগতি অর্জন এবং দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করেছে। তিনি বলেন, ২০২১ সালে স্বল্পোন্নত দেশগুলো থেকে গ্রাজুয়েশনের যোগ্যতা পূরণে বাংলাদেশ সক্ষম হয়েছে।

হুন সেন তাঁর ভিডিও বার্তায় কম্বোডিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যকার ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, ১৯৭৩ সালে আলজেরিয়ায় অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ দেশসমূহের সম্মেলনে কম্বোডিয়ার প্রয়াত রাজা নরোদম সিহানুক এবং বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যকার বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ভিত রচিত হয়েছিল। ১৯৯৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়ার মধ্যে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের নতুন অধ্যায় সূচিত হয়। তিনি বলেন, প্রায় তিন দশক ধরে জাতি এবং জনগণের স্বার্থে দুটি দেশ সমতা ও পরস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে দ্বিপক্ষীয় ও বিভিন্ন স্তরে গ্রহণযোগ্য সম্পর্ক ও কার্যকর সহযোগিতা উপভোগ করে আসছে।

একই সঙ্গে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পযার্য়ের সফর বিনিময় এবং ২০১৪ সালের জুনে তাঁর বাংলাদেশ সফর এবং ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে শেখ হাসিনার কম্বোডিয়া সফরের উল্লেখ করে বলেন, এ সময়ে দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক, বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বৃদ্ধিতে অনেক চুক্তি স্বাক্ষর হয়। উভয়পক্ষ নমপেনে এবং ঢাকায় দুই রাষ্ট্রনায়ক কম্বোডিয়ার জাতির পিতা এবং বাংলাদেশের জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার নিদর্শন স্বরুপ তাদের নামে একটি করে প্রধান সড়কের নামকরণে সম্মত হয়। এই আনন্দঘন মুহূর্তে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট অংশীদারিত্ব জোরদারে কম্বোডিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও ঘনিষ্ট সহযোগিতা আরো জোরদারে হুনসেন তাঁর দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।