বাণিজ্য বাড়াতে ও সীমান্ত উত্তেজনা কমাতে সম্মত পাকিস্তান-আফগানিস্তান

Looks like you've blocked notifications!
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ও আফগানিস্তানের তালেবান নিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। রয়টার্সের ফাইল ছবি

পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর বাড়তে থাকা হামলার মুখে বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং নিজেদের সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা কমিয়ে আনতে সম্মত হয়েছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের তালেবান সরকার। গতকাল রোববার (৭ মে) ইসলামাবাদে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি এবং আফগানিস্তানের তালেবান নিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে এই চুক্তিটি সাজানো হয়েছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। 

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির বরাতে আল-জাজিরা বলছে, রোববার বিলাওয়াল এবং মুত্তাকি তাদের বৈঠকে শান্তি ও নিরাপত্তার পাশাপাশি বাণিজ্য ও কানেকটিভিটিসহ দু’দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে বিশদ ও গভীর আলোচনা করেন। এতে দুপক্ষই সত্যিকার অর্থে ধারাবাহিকভাবে কাজ করার বিষয়ে নিজেদের আকাঙ্খা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

আফগান দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, মুত্তাকি ও তার প্রতিনিধি দল বিলাওয়াল ভুট্টোর সঙ্গে দেখা করেন। আজ সোমবার (৮ মে) এই টুইট বার্তায় বলা হয়েছে, বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ট্রানজিট সম্পর্ক ছাড়াও পাকিস্তানে থাকা আফগান শরণার্থীদের বিষয়ে কথা হয়েছে। 

এদিকে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে, মুত্তাকি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে তারা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংক্রান্ত বিষয়, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনাসহ চলতি নিরাপত্তা পরিবেশের উন্নতির জন্য দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা পদ্ধতির বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন।

এক বিবৃতিতে জানানো হয়, জেনারেল আসিম মুনির সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা সংক্রান্ত যৌথ চ্যালেঞ্জগুলো কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানান।

গত কয়েক বছরে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সম্পর্কে দেখা দিয়েছে নানা উত্থান-পতন।

ফেব্রুয়ারিতে দেশ দুটি তাদের সীমান্তের প্রধান যাতায়াত পথ তোরখাম ক্রসিং বন্ধ করে দেয়। এতে আটকা পড়ে অনেক লোকজন ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ খাদ্যবাহী ট্রাকের বহর। এই সঙ্কট নিয়ে আলোচনার জন্য কাবুল সফর করে পাকিস্তানি প্রতিনিধি দল। এক সপ্তাহ পর সীমান্ত আবারও খুলে দেওয়া হয়। এসময় মুত্তাকির ইসলামাবাদ সফরের পরিকল্পনা করা হয়।

২০২১ সালের আগস্ট মাসে আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের পর জনগণের ওপর কঠোর ও নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়া কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের অধিকাংশ সম্প্রদায় তালেবান শাসিত দেশটিকে এড়িয়ে চলে। সে সময় যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোটের সৈন্যরা ২০ বছরের যুদ্ধ শেষে আফগানিস্তানের ভূখণ্ড ছেড়ে চলে আসে।