বিদেশি ও আফগানদের দেশত্যাগের সুযোগ দিতে ৭০ দেশের বিবৃতি
৬০টির বেশি দেশ এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, আফগানসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকেরা যদি আফগানিস্তান ছেড়ে যেতে চায়, তাহলে তাদের যাওয়ার অনুমতি দিতে হবে। সেইসঙ্গে তাদের জন্য বিমানবন্দর ও সীমান্ত খোলা রাখতে হবে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে স্থানীয় সময় রোববার দিবাগত রাতে এ খবর জানানো হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, জাপান, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, কাতারসহ ৬০টির বেশি দেশ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, ‘আফগানিস্তানে যারা কর্তৃত্ব ও ক্ষমতায় রয়েছে, তারা মানুষের জীবন ও সম্পত্তির সুরক্ষা এবং অবিলম্বে নিরাপত্তা ও নাগরিক শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের জন্য দায়বদ্ধতা বহন করবে।’
যৌথ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আফগান জনগণের নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও মর্যাদার সঙ্গে বসবাসের অধিকার রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে আমরা তাদের সহায়তা করতে প্রস্তুত।’
মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণার পর থেকে একের পর এক প্রাদেশিক রাজধানীসহ গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো দখলে নিতে থাকে সশস্ত্র তালেবান গোষ্ঠী। এরই ধারাবাহিকতায় তালেবান বিদ্রোহীরা গতকাল রোববার রাজধানী কাবুলে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট প্যালেস দখলের মধ্য দিয়ে যুদ্ধ সমাপ্ত ঘোষণা করে। এমন পরিস্থিতিতে আজ সোমবার সকালেও পশ্চিমা দেশগুলোর নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে তোড়জোড় দেখা গেছে।
যেসব মার্কিনি ও আফগান নাগরিকেরা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কাবুলে থেকে কাজ করছিলেন, তাদের সরিয়ে নিতে সাহায্য করতে এর মধ্যেই পেন্টাগন আফগানিস্তানে নতুন করে এক হাজার সৈন্য মোতায়েন করেছে। এর আগে মার্কিন সরকার বলেছিল—হাজারও মার্কিনিদের আফগানিস্তান ছাড়ার সুযোগ করে দিতে বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে তারা।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করা অন্যান্য দেশের মধ্যে রয়েছে চিলি, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, এল সালভাদর, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, গ্রিস, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, স্পেন, সুইডেন, ইউক্রেন, ইয়েমেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রবিষয়ক ও নিরাপত্তা নীতির প্রতিনিধি।