বিমান ভূপাতিতের প্রতিবাদে ইরানে বিক্ষোভ তৃতীয় দিনে
ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমান ভূপাতিত করার প্রতিবাদে ইরানে চলমান বিক্ষোভ তৃতীয় দিনে পৌঁছেছে। গতকাল সোমবার তেহরানের ইসপাহান শহরে এই বিক্ষোভে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির পদত্যাগসহ বিমান ভূপাতিতের ঘটনায় জড়িতদের ফাঁসির দাবি করে বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভ দমনে এদিন রাস্তায় অবস্থান নেয় দাঙ্গা পুলিশ। এ ছাড়া আজাদি স্কয়ারে বিক্ষোভরতদের ওপর টিয়ার গ্যাস ছুঁড়েছে পুলিশ। এ সময় বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হন। তেহরানসহ আরো বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভের খবর দিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।
এদিকে ভবিষ্যতে অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে নাক গলালে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত রবার্ট ম্যাকাইরকে বিতাড়িত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। সোমবার এক বিবৃতিতে এমন হুঁশিয়ারি দেয় দেশটি।
ইরান এ ঘটনাকে অমার্জনীয় ভুল হিসেবে উল্লেখ করছে। যদিও বিমান ভূপাতিতের পর থেকে পশ্চিমা গণমাধ্যম ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় ঘটনাটি ঘটার সন্দেহ করে। শুরু থেকেই ইরান তা অস্বীকার করে আসছিল। পরে ভিডিও প্রকাশ হলে তারা তা স্বীকার করে নেয়। তবে এখন পর্যন্ত ঘটনাটিকে ভুল হিসেবে বলে আসছে ইরান।
তবে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে ইরান পরিকল্পিতভাবে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে এই বিমানটিকে ভূপাতিত করে থাকতে পারে।
গত ৩ জানুয়ারি শুক্রবার ভোরে বাগদাদ বিমানবন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত হন ইরাকি জেনারেল কাসেম সোলেইমানি। এর প্রতিশোধে গত বুধবার ইরাকে মার্কিন সেনাদের অবস্থান করা আল-বালাদসহ দুটি ঘাঁটিতে উপর্যুপরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ইরান দাবি করে, এতে ৮০ জনের মতো মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে।
এর আগে গত মাসে ইরানি মদদপুষ্ট ইরাকি মিলিশিয়াদের হাতে এক মার্কিন ঠিকাদার নিহত হন। এরপর সিরিয়া ও ইরাকে মার্কিন বিমান হামলায় একই দিনে ২৫ হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত হন। তাঁদের জানাজায় শরিক হয়ে বাগদাদের মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ওই বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এবং মার্কিন দূতাবাসে হামলায় জড়িতদের বেশির ভাগ শিয়া মতাবলম্বী ইরাকি। দূতাবাসে হামলার ঘটনার পরই জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র।