‘বিশ্বের সর্বোচ্চ যিশু মূর্তি’ নির্মাণকে কেন্দ্র করে কর্ণাটকে রাজনৈতিক টানাপড়েন
যিশু খ্রিস্টের মূর্তি নির্মাণকে কেন্দ্র করে কর্ণাটকে চলছে রাজনৈতিক টানাপড়েন। কর্ণাটকের হারোবেলে গ্রামের কাপালা পাহাড়ের ওপর যিশুর মূর্তি নির্মাণের জন্য ১০ একর জমি দান করেছেন কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার। তাঁর দাবি, এটিই হবে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু যিশু খ্রিস্টের মূর্তি।
হারোবেলে গ্রামটি যে বিধানসভা কেন্দ্রের অধীনে, ডি কে শিবকুমার সেই কেন্দ্রের বিধায়ক। শিবকুমার গত বুধবার বড়দিনে মূর্তিটির নির্মাণকাজ শুরুর আগে ভূমি পূজা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এ সময় ১১৪ ফুট উঁচু মূর্তির একটি প্রতিকৃতিও সেখানে রাখা হয়। জানা গেছে, একটিমাত্র পাথর খোদাই করে এই মূর্তি নির্মাণ করা হবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর জানিয়েছে।
ডি কে শিবকুমার ও তাঁর ভাই ডি কে সুরেশ, যিনি নিজেও একজন সাংসদ, স্থানীয় গির্জার ট্রাস্টের হাতে বড়দিনে জমির মালিকানার কাগজপত্র তুলে দেন। এই ট্রাস্টের তত্ত্বাবধানেই নির্মিত হবে যিশুর মূর্তি।
এদিকে রাজ্যের বিজেপি নেতারা শিবকুমার ও তাঁর ভাইয়ের এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছেন। প্রবীণ বিজেপি নেতা এবং গ্রাম উন্নয়ন ও পঞ্চায়েত রাজের মন্ত্রী কে এস এশ্বরাপ্পা টু্ইট করেন, ‘ওদিকে কংগ্রেস রাম মন্দির নির্মাণে বাধা দিয়েছে, আর এদিকে এখন যিশুর মূর্তি তৈরির জন্য জমি দেওয়া হচ্ছে।’
গতকাল শুক্রবার ম্যাঙ্গালুরু বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের দেওয়া সাক্ষাৎকারে এশ্বরাপ্পা বলেন, ‘যিশুর মূর্তি নির্মাণের বিরোধীতা করছি না। কিন্তু এই পদক্ষেপ শুধু খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের ভোট পেতেই নেওয়া হয়েছে। হিন্দু ধর্মেও তো বহু দেবতা রয়েছেন, তাঁদের কথা ভাবলেও তো পারতেন।’
সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্ত কুমার হেগড়েও টু্ইটে শিবকুমারের এই পদক্ষেপকে কটাক্ষ করেন। অন্যদিকে ভারতের বর্তমান সরকারের মন্ত্রী আর অশোক দাবি করেছেন, যে জমিতে মূর্তিটি নির্মাণ করা হচ্ছে, ওই জমি শিবকুমার বা তাঁর পরিবারের নয়। এটি সরকারি জমি। গবাদি পশু চরানোর জন্য এ জমি ব্যবহৃত হয়।