বেলারুশে নতুন করে নির্বাচনের ইঙ্গিত লুকাশেঙ্কোর
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/09/09/belaarush.jpg)
ইউরোপের দেশ বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো নতুন করে নির্বাচনের ইঙ্গিত দিলেন। অন্যদিকে নিজের পাসপোর্ট ছিঁড়ে জোর করে ইউক্রেনে পাঠানো রুখলেন বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোলেসনিকোভা।
রাশিয়ার একটি টেলিভিশন চ্যানেলের কাছে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো পুনরায় নির্বাচনের সম্ভাবনা খারিজ করে দেননি। লুকাশেঙ্কো বলেছেন, তিনি বোধ হয় বেশিদিন ধরে প্রেসিডেন্ট পদে আছেন। তবে লুকাশেঙ্কো এটাও জোর দিয়ে বলেছেন, তিনি ছাড়া বেলারুশকে কেউ এখন রক্ষা করতে পারবে না। সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে এ খবর জানিয়েছে।
লুকাশেঙ্কো এর আগেও একবার নতুন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর তিনি আর সে পথে এগোননি; বরং নিরাপত্তা বাহিনীকে দিয়ে জোর করে বিক্ষোভ থামানোর চেষ্টা করেছেন। এবার লুকাশেঙ্কো বলেছেন, ‘আমি আগে সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধন করতে চাই। তারপর আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা যেতে পারে।’
অন্যদিকে বিক্ষোভ করার সময় বিরোধী নেত্রী কোলেসনিকোভাকে অপহরণ করেছিল মুখোশধারীরা। তারা মিনস্ক থেকে কোলেসনিকোভাকে সোজা নিয়ে যায় ইউক্রেনের সীমান্তে। জোর করে তাঁকে বেলারুশ থেকে ইউক্রেনে পাঠানোর চেষ্টা হয়। কিন্তু কোলেসনিকোভা সেখানে নিজের পাসপোর্ট ছিঁড়ে ফেলে দেন। ফলে তাঁকে আর জোর করে ইউক্রেন পাঠানো যায়নি। কোলেসনিকোভার সঙ্গে থাকা দুই অনুগামীকে অবশ্য তার আগে ইউক্রেনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কোলেসনিকোভাকে আটক করা হয়েছে।
আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো ১৯৯৪ সালের প্রথম নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসেন। ৪৫ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই লুকাশেঙ্কো বেলারুশের নীতিকে রাশিয়ার নিকটবর্তী করে তোলেন। ১৯৯৬ সালে ১৯৯ জন সংসদ সদস্য সংবিধান বিরোধিতার দায়ে লুকাশেঙ্কোর অপসারণের দাবি তোলেন। কিন্তু লুকাশেঙ্কোকে ক্ষমতাচ্যুত করা যায়নি।
এদিকে লুকাশেঙ্কো আবার নির্বাচনের ইঙ্গিত দিলেও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন। রাশিয়ার একটি বেতার কেন্দ্রকে লুকাশেঙ্কো বলেছেন, ‘এই বিক্ষোভকারীদের নেতৃত্ব কে দিচ্ছেন, সেটাই তো আমি জানি না।’
রাশিয়ার সাংবাদিকদের কাছে লুকাশেঙ্কো দাবি করেন, বিক্ষোভের ফলে তাঁর শাসনের অবসান হলে এরপর রাশিয়াও রেহাই পাবে না। তাঁকে সরে যেতে হলে রাশিয়ায় বিক্ষোভ শুরু হবে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লুকাশেঙ্কোর প্রধান প্রতিপক্ষ শেৎলানা একটি ভিডিওবার্তায় বিশ্বের দেশগুলোর কাছে অনুরোধ করেছেন, তারা যেন বেলারুশের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। শেৎলানা বলেছেন, ‘আমার দেশ, আমার দেশের লোক এখন আপনাদের কাছ থেকে সাহায্য পেতে চায়।’