বৈদেশিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ চায় তালেবান সরকার
তালেবান আফগানিস্তানের রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর দেশটির অর্থনীতি আরো ভেঙে পড়েছে। বিদেশে আটকে আছে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার মজুত। এমন এক পরিস্থিতির মধ্যে তালেবান প্রশাসন স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
সে লক্ষ্যে নিজ দেশের পণ্য ব্যবহারে জনগণকে উৎসাহিত করার কর্মসূচি নিয়েছে তালেবান কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বৈদেশিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে চাচ্ছে তারা। আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত বাণিজ্যমন্ত্রী হাজি নুরুদ্দিন আজিজি গতকাল সোমবার (২ জানুয়ারি) এসব কথা বলেন। খবর রয়টার্সের।
বাণিজ্যমন্ত্রী নুরুদ্দিন আজিজি বলেছেন, ‘আমরা জাতীয় আত্মনির্ভরশীল কর্মসূচি চালু করব। দেশীয় পণ্য ব্যবহারে আমরা সরকারি সব প্রশাসনকে উৎসাহ দেব। এছাড়া মসজিদের মাধ্যমে দেশীয় পণ্য ব্যবহারে জনগণকে উৎসাহিত করা হবে। স্বনির্ভর হতে সাহায্য করবে, দেশীয় এমন পণ্যে সহযোগিতা দেওয়া হবে।’
একই সঙ্গে বৈদেশিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিদেশ থেকে যাঁরা আফগানিস্তানে পণ্য আমদানি করছেন, তাঁরা দেশেই বিনিয়োগ করার সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার কথা বলছেন। কারণ, আমদানিকারকেরা বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি না করে এখানেই বিনিয়োগ করতে চান।
ইরান, রাশিয়া ও চীনের মতো কিছু দেশ আফগানিস্তানে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী নুরুদ্দিন আজিজি বলেন, কিছু কিছু প্রকল্প নিয়ে আলোচনা চলমান। যেমন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক নির্মাণে চীনের সঙ্গে ও তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়া ও ইরানের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
তালেবান সরকারকে এখনো কোনো দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। এদিকে নারীর অধিকার খর্ব করার প্রতিবাদে অনেক দেশ তালেবানের ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। কাবুলে বিভিন্ন বৈদেশিক স্থাপনায় একের পর এক হামলায় বিনিয়োগকারীরা উদ্বিগ্ন। এসব হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস।