ভাঙতি ১ রুপি না দেওয়ায় জরিমানা গুণতে হলো ৩ হাজার

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : এনডিটিভি

গন্তব্যে যেতে এক ব্যক্তি উঠেছিলেন বাসে। নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাড়াও দেন তিনি। তবে, খুচরো না থাকায় ভাঙতি অর্থ ফেরত দিতে পারেননি বাসের কন্ডাক্টর। এ নিয়ে তর্ক-বিতর্কে জড়ায় ওই যাত্রী ও কন্ডাক্টর। ভাঙতি পরিশোধ না করেই ওই ব্যক্তি গন্তব্যে পৌঁছে যায়। অবশেষে যাত্রীর পাওনা অর্থ না দিয়েই চলে যায় বাস। এ ঘটনায় আদালতের শরণাপন্ন হন ওই ভুক্তভোগী। অবশেষে তিন বছর আইনি লড়াই শেষে ওই বাস কর্তৃপক্ষকে তিন হাজার ৮৭৫ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। আর এই ক্ষতিপূরণের পুরো অর্থই পাবেন ওই বাসযাত্রী। ঘটনাটি ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরুর। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

প্রতিবেদনে ভারতীয় গণমাধ্যমটি জানায়, তিন বছর আদালতে মামলা চলার পর বাসযাত্রী রমেশ নায়েক জিতে গেছেন। নিজের প্রাপ্য অর্থ বোঝার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ক্ষতিপূরণ বাবদ তিন হাজার রুপি পেয়েছেন।

২০১৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর রমেশ বেঙ্গালুরু মেট্রোপলিটন ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের (বিএমটিসি) ৩৬০বি রুটের একটি বাসে ওঠেন। শান্তিনগর স্ট্যান্ড থেকে বাসটিতে ওঠেন। ৩৭ বছর বয়সী এই যাত্রী ভাড়া বাবদ ৩০ রুপি দেন নারী বাস কন্ডাক্টরকে। রমেশের ভাড়া ছিল ২৯ রুপি। তিনি বাস কন্ডাক্টরের কাছে এক রুপি ফেরত চান। তবে, খুচরো না থাকায় ওই এক রুপি ফেরত দেননি ওই নারী কন্ডাক্টর। এমনকি এক রুপি চাওয়ায় রমেশকে অন্যান্য যাত্রীর সামনে অপমান করে।

এ ঘটনায় বিএমটিসির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বাস কন্ডাক্টরের বিষয়ে অভিযোগ করেন রমেশ। তবে, ঊর্ধ্বতনরা রমেশকে নিয়ে উপহাস করে ও তাকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। বিএমটিসির ঊর্ধ্বতনদের ওপর ক্ষোভ করে তাদের উচিত শিক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রমেশ। বিএমটিসি ও সংস্থাটির পরিচালকের বিরুদ্ধে শান্তিনগর ভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তি আদালতে ক্ষতিপূরণের মামলা করেন তিনি।

বিষয়টি আদালতে উঠানো হলে বিএমটিসির আইনজীবী অভিযোগটিকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করে। আর বিষয়টি বেশ নগণ্য বলে উপস্থাপন করেন তিনি। এ ঘটনায় ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি রায় দেয় আদালত। রায়ে বিচারক বলেন, ‘অভিযোগটি নগণ্য। তবে, বিএমটিসি বাস কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও অসচেতনতা এবং বাস কন্ডাক্টরের ব্যবহার অগ্রহণযোগ্য। একজন ভোক্তাকে তার অর্থ ফেরত দিতেই হবে সেটি এক রুপি হোক না কেন। গ্রাহক সুরক্ষা অ্যাক্ট ১৯৮৬ অনুযায়ী বিএমটিসি কর্তৃপক্ষ জরিমানা দিতে বাধ্য।

রায়ে বিচারক আরও বলেন, ৪৫ দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত রমেশকে দুই হাজার রুপি দিতে হবে বিএমটিসিকে। একইসঙ্গে মামলা বাবদ তাকে আরও এক হাজার রুপি দিতে হবে। এ সময়ের মধ্যে তাকে জরিমানার অর্থ না দেওয়া হলে এর পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে।