ভারতে উৎপাদিত অক্সফোর্ড টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অভিযোগ

Looks like you've blocked notifications!
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাসের টিকায় গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অভিযোগ উঠেছে। ছবি : সংগৃহীত

সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার উৎপাদিত অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাসের টিকায় গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ার কথা জানিয়ে পাঁচ কোটি রুপি দাবি করেছেন চেন্নাইয়ের এক স্বেচ্ছাসেবক। তবে সেরাম ইনস্টিটিউট এই দাবি নাকচ করে দিয়েছে। এনডিটিভির খবরে একথা জানানো হয়েছে।

ওই স্বেচ্ছাসেবকের স্ত্রী বলেছেন, ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় তাঁর স্বামী সৃজনশীলতা হারিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর থেকেই তাঁর স্বামীর দেহে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

সেরাম ইনস্টিটিউটকে ২১ নভেম্বর আইনি নোটিশ পাঠিয়ে ওই ভুক্তভোগী কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন গ্রহণে তাঁর স্নায়ুতন্ত্র অকেজো, স্মৃতিশক্তি হারানো এবং আচরণগত পরিবর্তন আসার কথা জানায়। এবং এই কারণে ক্ষতিপূরণও দাবি করে।

জবাবে সেরাম ইনস্টিটিউট এক বিবৃতিতে বলেছে, কোম্পানির সুনাম নষ্ট করার জন্য এমন অভিযোগ আনা হয়েছে। টিকার ট্রায়ালে অংশ নেওয়া অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে তারা ১০০ কোটি রুপির মানহানি মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

অভিযোগকারীর শারীরিক অসুবিধাগুলো টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নয় বলে ভারতের ডাটা অ্যান্ড সেফটি মনিটরিং বোর্ড এবং এথিকস কমিটির নিরপেক্ষ তদন্তকারীরা জানিয়েছেন বলে দাবি করেছে কোম্পানিটি।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা নিশ্চিত করে বলতে চাই, নিরাপদ এবং প্রতিরোধক্ষমতা সৃষ্টির নিশ্চিত প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত টিকা গণহারে প্রয়োগে যাওয়া হবে না।