ভারতে চিকিৎসা না পেয়ে মারাই গেল দেড় বছরের শিশুটি!
ভারতে চিকিৎসার অভাবে হাসপাতালের বাইরে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে দেড় বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিশুটির শ্বাসকষ্ট ও করোনা পজিটিভ ছিল বলে জানিয়েছে পরিবার। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের ভিশাখাপাতনামের একটি হাসপাতালে।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে জানায়, চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ঘণ্টা খানেক সময় ধরে আকুতি জানান শিশুটির মা-বাবা। হাসপাতালে যখন ভর্তি করা হয় ততক্ষণে মারা যায় শিশুটি।
এদিকে শিশুটির মৃত্যুর পর তার আত্মীয়রা হাসপাতালে ছুটে আসেন এবং হাসপাতালের কর্মীদের সঙ্গে বিবাদে জড়ান। তাদের অভিযোগ, হাসপাতালের কর্মীদের উদাসীনতার কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, অন্ধ্রপদেশের কিং জর্জ হাসপাতালের সামনে একটি অ্যাম্বুলেন্সে দেড় বছর বয়সী চান্দভীকা ভীষণ শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তির জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।
এ ঘটনার একটি ভিডিও সামনে এসেছে, যেখানে দেখা যায়, শিশুটির বাবা ভীরা বাবু (৩০) তার মুখে অক্সিজেন দিচ্ছেন এবং মা উমা (২৩) অঝরে কাঁদছেন।
অসহায় ওই মা কাঁদছেন আর বলছেন, ‘দয়া করে আমার সন্তানকে বাঁচান, কেউ দয়া করে আমার সন্তানকে বাঁচান। তারা তাকে রাস্তায় ফেলে রেখেছে। আপনারা কেন চিকিৎসক হয়েছেন? আমি তাকে বাঁচাতে হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে গিয়েছিলাম কিন্তু তারা তাকে রাস্তায় ফেলে রেখেছিল। তারা আমাদের ১০৪ ডায়াল করতে বলে, কিন্তু সেখান থেকেও কোনো উত্তর পাইনি,’ বলেন উমা।
পরিবারের দাবি, কয়েকদিন ধরেই শিশুটি অসুস্থ ছিল এবং র্যাপিড এন্টিজেন টেস্টে তার করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে। কিন্তু শিশুটির জ্বর বাড়তে থাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার আবার করোনা পরীক্ষা করা হয় এবং তখন ফল পজিটিভ আসে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘শিশুটির অভিভাবকরা হাসপাতালের ইমার্জেন্সি কেয়ারের জন্য ৯০ মিনিট অপেক্ষা করেছিলেন। অবশেষে হাসপাতালের দোরগোড়ায় শিশুটি কার্যত মারা গেল।’
তবে হাসপাতালের এক বিবৃতিতে শিশুটিকে ভর্তি করার ক্ষেত্রে বিলম্ব করার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বলেছে, শিশুটিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল কিন্তু করোনায় তার মৃত্যু হয়েছে।