ভারতে নাগরিকত্ব আইনের নীতিমালা ঠিক হতে লাগবে আরও ছয় মাস

Looks like you've blocked notifications!
ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইনের নিয়ম-নীতি ঠিক করতে আরও ছয় মাস সময় চেয়েছে মোদি সরকার। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইনের নিয়ম-নীতি ঠিক করতে আরও ছয় মাস সময় চেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতজুড়ে যে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এতোদিন ধরে হৈ চৈ চলেছে, সেই নাগরিকত্ব আইনের নিয়ম-নীতিই এখনও ঠিক করতে পারেনি তারা। চলতি বছরেও সেই নিয়ম-নীতি ঠিক করা সম্ভব হবে না। এ বিষয়ে নিয়ম-নীতি চালু করতে ২০২২ সালের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় চেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

উল্লেখ, দেড় বছর আগে ভারতে নাগরিকত্ব আইন তৈরি হলেও সেই সংক্রান্ত নিয়ন-নীতি এখনও ঠিক হয়নি। সে জন্য আরও ছয় মাস সময়ের প্রয়োজন। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এদিন এমনটাই জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে বলা হয়েছে, নাগরিকত্ব আইনের নিয়ম-নীতি ঠিক হলেই ভারতে নাগরিকত্ব আইন চালু হবে।

আজ মঙ্গলবার নাগরিকত্ব আইনের কাজ কতোদূর এগিয়েছে, এই বিষয়ে সংসদে জানতে চান কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ। উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে জানানো হয়, নাগরিকত্ব আইনের নিয়ম-নীতি ঠিক করতে আরও ছয় মাস লাগবে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেন, এই নাগরিকত্ব আইনের নিয়ম-নীতি ঠিক করার জন্য লোকসভা এবং রাজ্যসভার কমিটির কাছে ২০২২ সালের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় চাওয়া হয়েছে।

উল্লেখ, ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব আইনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে সেটি আইনে পরিণত হয়। মূলত ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আসা অমুসলিম সম্প্রদায়ের সংখ্যালঘু নাগরিকদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার লক্ষ্যে নাগরিকত্ব আইন চালু করে কেন্দ্রীয় সরকার।

সেখানে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পারসি এবং খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

তার জন্য নিজের এবং বাবা মায়ের জন্মের প্রমাণপত্র দিতে হবে। কোনও কারণে তা না দিতে পারলে ভারতে ছয় বছর বসবাসের পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন তাঁরা।

তবে কেন্দ্রের এই আইনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের একটা বড় অংশের মানুষ। বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারাও এই আইনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের অভিযোগ, জাতীয় নাগরিক পঞ্জি এবং নাগরিকত্ব আইন ব্যবহার করে সংখ্যালঘু মুসলিমদের নিশানা করতেই এই আইন এনেছে কেন্দ্র।