ভারত-চীন সীমান্ত দ্বন্দ্বে নাক গলাল যুক্তরাষ্ট্র
নভেল করোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যেই গত মে মাস থেকেই ভারতের উত্তর সীমান্তের লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অঞ্চলে চীনের পদক্ষেপ ও বাড়তি সেনা মোতায়েনকে কেন্দ্র করে দুদেশের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এর জেরে পূর্ব লাদাখের সীমান্তে অস্ত্রশস্ত্র মজুদ করা শুরু করেছে দুই দেশ। এরই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, এ দুই প্রতিবেশী দেশের ঝামেলা মেটাতে মধ্যস্থতা করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র।
অবশ্য ভারত ট্রাম্প সরকারকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, তারা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে নেবে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্বিগ্ন হতে হবে না। এরপরও যুক্তরাষ্ট্র এ প্রসঙ্গে মতামত দিয়ে যাচ্ছে। গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের হাউস কমিটি অন ফরেন অ্যাফেয়ার্সের পক্ষ থেকে একটি টুইট করে জানানো হয়, সীমান্ত এলাকায় চলমান দ্বন্দ্বে চীনের উচিত আইনকানুন মেনে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে সব সমস্যার সমাধান করা।
এ বিষয়ে হাউস কমিটি অন ফরেন অ্যাফেয়ার্সের চেয়ারম্যান এলিয়ট এনগেল বলেন, “ভারত-চীন সীমান্তে লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল অঞ্চলে চীনের চলমান আগ্রাসন নিয়ে আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। চীন আরো একবার দেখাল যে, তারা আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করে সংকট সমাধানের পথে না হেঁটে প্রতিবেশীকে পীড়নে আগ্রহী। সব দেশেরই অবশ্যই উচিত একই নিয়মনীতি মেনে চলা, যাতে করে আমাদের ‘জোর যার মুলুক তার’ এমন একটা বিশ্বে বসবাস করতে না হয়। আমি চীনকে গভীরভাবে আহ্বান জানাই, তারা যেন রীতিনীতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে এবং কূটনৈতিক ও প্রচলিত পন্থায় ভারতের সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় চলমান সমস্যা সমাধান করে।”