ভুটান ভ্রমণে বাংলাদেশিদের খরচ বাড়ছে

Looks like you've blocked notifications!

ভুটানে বেড়াতে যাওয়ার খরচ বাড়ছে বাংলাদেশি পর্যটকদের। ভুটানে বেড়াতে গেলে এরপর থেকে আর আগের মতো পর্যটন শুল্কে ছাড় পাবেন না বাংলাদেশ, ভারত ও মালদ্বীপের নাগরিকরা। হিমালয়ের পাদদেশের এই দেশটিতে নতুন দুটি অতিরিক্ত খরচ দিতে হতে পারে তাদের।

‘সর্বাঙ্গীণ উন্নয়ন ফি’ ও ‘পারমিট প্রসেসিং ফি’ এবার থেকে উক্ত তিন দেশের পর্যটকদের ক্ষেত্রেও চালু করার পরিকল্পনা করেছে ভুটানের পর্যটন মন্ত্রণালয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে জানায়, দিল্লিতে সোমবার ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তান্দি দর্জি দেশটির নতুন খসড়া পর্যটন নীতি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা বলেছেন।

এই লক্ষ্যে এরই মধ্যে একটি নতুন খসড়া নীতি তৈরি করেছে ভুটানের পর্যটন মন্ত্রণালয়। আগামী মাসে ভুটান মন্ত্রিসভা সবুজ সংকেত দিলেই এই আইন কার্যকর হবে।

বর্তমান পরিস্থিতি

বর্তমানে বাংলাদেশ, ভারত ও মালদ্বীপের নাগরিক ছাড়া ভুটানে সব বিদেশি পর্যটককেই ভরা মৌসুমে ২৫০ মার্কিন ডলার বা ২১ হাজার ২১০ টাকা ও অফ সিজনে ২০০ মার্কিন ডলার বা ১৬ হাজার ৯৬৮ টাকা করে দিতে হয়।

ভুটানে অফ সিজন হলো শীতের সময়, ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ও বর্ষার সময়, জুন থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত।

এর মধ্যে থাকার খরচ, ভুটানের মধ্যে যাতায়াত খরচ, একজন ট্যুরিস্ট গাইডের খরচ ও নন-অ্যালকোহলিক ড্রিঙ্কের খরচ ও প্রবেশমূল্য ধরা থাকে। যার মধ্যে স্থিতিশীল উন্নয়ন খাতে ৬৫ ডলার বা পাঁচ হাজার ৫১৪ টাকা দৈনিক চার্জ ধরা থাকে। ধরা থাকে পর্যটকের ভিসা খরচও।

এ ছাড়া কোনো পর্যটক একা ভ্রমণ করলে ৪০ মার্কিন ডলার বা তিন হাজার ৩৯৩ টাকা ও দুজন বা তার বেশি একসঙ্গে ভ্রমণ করলে মাথাপিছু ৩০ ডলার বা দুই হাজার ৫৪৫ টাকা করে অতিরিক্ত সারচার্জ দিতে হয়।

অর্থাৎ এর মধ্যে ভুটানে যাওয়া-আসা, সেখানে কেনাকাটা ও বকশিস ছাড়া সব খরচই ধরা থাকে। তবে আঞ্চলিক দেশ হিসেবে ভারত, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের পর্যটকদের এই খরচ দিতে হয় না।

এই তিন দেশের নাগরিকদের ভুটান যাওয়ার জন্য ভিসার প্রয়োজন হয় না ও ন্যূনতম ২০০ বা ২৫০ ডলার খরচের আওতাতেও পড়েন না তাঁরা। এর ফলে পর্যটকরা নিজেদের মতো করে পর্যটনের বাজেট স্থির করতে পারেন, থাকা-খাওয়ার নিজস্ব বন্দোবস্ত করতে পারেন।

লোনলি প্ল্যানেট নামক পর্যটন পোর্টাল অনুসারে থিম্পুর বাজেট— হোটেলে এক রাত থাকার খরচ ২০ থেকে ৪০ ডলারের মধ্যে, রেস্তোরাঁয় একজনের খাবার খরচ সাত থেকে ১৫ ডলারের মধ্যে। লোনলি প্ল্যানেটের হিসাব অনুসারে উঁচু মানের হোটেলের খরচ ৫০০ থেকে এক হাজার ৭৫০ ডলারের মধ্যে।