মিসরের সিনেট নির্বাচনে ভোট না দেওয়ায় পাঁচ কোটি ৪০ লাখ ভোটারকে দেশটির পাবলিক প্রসিকিউটরের আদালতে হাজির হাওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে। মিসরের নির্বাচন কমিশন এ আদেশ জারি করেছে।

আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গেল সপ্তাহে মিসরে সিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৩০০ আসনের এ ভোটে ভোটারদের ২০০ প্রার্থী নির্বাচিত করা সুযোগ ছিল। তবে পাঁচ কোটি ৪০ লাখ ভোটার ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে, যা দেশটির জনসংখ্যার অর্ধেক। আর মোট ভোটারের ৮৫ শতাংশ।

এ বিষয়ে দেশটির নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান লাসেন ইব্রাহিম বলেন, ‘যেকোনোভাবে এ ভোট বর্জনকারীদের থেকে ৫০০ মিসরীয় পাউন্ড জরিমানা আদায় করতে হবে। নির্বাচনী আইনে এটা পরিষ্কারভাবে বলা আছে।’

তবে নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে অনেকেই।

দেশটির খ্যাতনামা লেখক গামাল তাহা ফেসবুকে লিখেছেন, ভোটাররা কেন নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়নি, সেটি রাজনীতিবিদদের ভাবা উচিত। কারণ তাঁরা দিনকে দিন ভোটারদের কাছে আস্থা হারাচ্ছে।

২০১৪ সাল থেকে বর্তমান সরকার নির্বাচনের বৈধতা এবং জনগণের ভোটাধিকারের ইস্যুতে অভ্যন্তরীণ সংকটে ভুগছে। ওই বছর প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নেন সাবেক সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি।

এর আগে দেশটির প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করেন আল সিসি। বৈধ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে নিজের প্রেসিডেন্সি রক্ষা করে চলছেন সাবেক এই সেনাপ্রধান।