ভোট পুনর্গণনার পর জর্জিয়ায় বাইডেন জয়ী, নর্থ ক্যারোলাইনায় ট্রাম্প
মার্কিন নির্বাচনে জর্জিয়া ও নর্থ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যে ভোট পুনর্গণনা শেষ হয়েছে। এর মধ্যে জর্জিয়ায় জয় নিশ্চিত করেছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং নর্থ ক্যারোলাইনায় জয় পেয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস এ খবর জানিয়েছে।
এদিকে জর্জিয়ায় ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ১৬টি। ফলে সব অঙ্গরাজ্যের ভোট গণনা শেষে বাইডেনের ঝুলিতে পড়ল ৩০৬টি ইলেকটোরাল ভোট। অন্যদিকে, নর্থ ক্যারোলাইনায় ভোট পুনর্গণনায় আরো ১৫টি ইলেকটোরাল ভোট নিয়ে ট্রাম্প পেলেন মোট ২৩২টি ইলেকটোরাল ভোট।
এর আগে এ দুই অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প ও জো বাইডেনের ভোটের ব্যবধান অল্প হওয়ায় ভোট পুনর্গণনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জর্জিয়ায় পুনরায় ভোট গণনার পর বাইডেন পেয়েছেন ৪৯ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট এবং ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৯ দশমিক ২ শতাংশ ভোট। ১৯৯২ সালের পর এ অঙ্গরাজ্যে কোনো ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জয় পেলেন।
এ ছাড়া নর্থ ক্যারোলাইনায় আবারো ভোট গণনার পর ট্রাম্প পেয়েছেন ৫০ শতাংশ ভোট এবং বাইডেন পেয়েছেন ৪৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট। এ অঙ্গরাজ্যে সচরাচর রিপাবলিকানরাই এগিয়ে থাকে।
এর আগে ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট পাওয়ার পরই ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেনকে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৪ নভেম্বর ইলেকটোরাল কলেজ সদস্যরা ভোট দেওয়ার আগ পর্যন্ত অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবারের নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণার কাজটি মার্কিন গণমাধ্যমগুলোই করে থাকে।
বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধান জো বাইডেনকে এরই মধ্যে জয়ের অভিনন্দনও জানিয়েছেন। কিন্তু এই বিজয় কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর নির্বাচনী শিবির। এখনো জয়ের আশা ট্রাম্পের। এক টুইটে ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমরা জিতব।’ অন্যদিকে, নির্বাচনী কর্মকর্তারা বলে দিয়েছেন ট্রাম্পের ভোট কারচুপির অভিযোগ ভিত্তিহীন।
এ ব্যাপারে বাইডেন বলেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের ক্ষমতা হস্তান্তর কেউ ঠেকাতে পারবে না, যেমনটি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রমাণ ছাড়াই বলেছেন যে নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছিল।’
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার বাইডেন বলেন, যেভাবেই হোক, ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি একটি নতুন প্রশাসন গঠন করে তাঁর দল দায়িত্ব নিতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘খোলাখুলি বলছি, কোনো কিছুই আমাদের এর থেকে বিরত রাখতে পারবে না।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় নিশ্চিত হওয়ার পর দেশটির সরকারের স্বাধীন সংস্থা জেনারেল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিএসএ) বিজয়ী নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের নাম ঘোষণা করে তাঁকে স্বীকৃতি দেয়। ট্রাম্প প্রশাসনের নিয়োগ করা জিএসএ প্রধান এমিলি মারফি এখনো এ ক্ষেত্রে উদ্যোগ নেননি।
জিএসএ প্রধান একটি চিঠিতে সই করলেই রাষ্ট্রীয় তহবিল, সরকারি দপ্তর ও সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করতে পারবে বাইডেন শিবির। তবে মারফি বলেছেন, কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন, বিষয়টি এখন পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়নি। এ কারণে তিনি বাইডেন শিবিরকে অনুমতি দিতে পারছেন না।